216 বার পঠিত
হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়াতে শীতের আগামবার্তা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে ফলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৫০টি শয্যা থাকলেও বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনে ভর্তি হয়েছে শতাধিক শিশু। এমবতাবস্থায় শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমান চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও ডাক্তারদের। যদিও ডাক্তাররা বলছেন, তারা তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেড থেকে শুরু করে মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে শিশু রোগীদের। শিশুদের মধ্যে অধিকাংশ রোগীই জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, শাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ড জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ডিউটিরত নার্সরা বলেন, ওয়ার্ডের শয্যার ছেয়ে অধিক সংখ্যক রোগী থাকায় আমাদের যেমন চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তেমনি রোগীদেরও কষ্ট হচ্ছে। বেড না পেয়ে অনেককেই মেঝেতেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এ সময়টাতে শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে।