138 বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে হবিগঞ্জসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় দিনভর টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় অফিস আদালত ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি না থাকলেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের। এর মধ্যে বিশেষ করে রিক্সা ও ভ্যান চালকরা পড়েন বেশি বিড়ম্বনায়। এছাড়াও হবিগঞ্জ শহরে বেশ কিছু নিচু এলাকায় বাসা বাড়িতেও বৃষ্টির পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।
বৃষ্টিপাতে বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাক সবজি ও বীজতলার আমনধানের। জেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ২শ হেক্টরের মতো শীতকালীন সবজি ফুল কপি, বাধা কপি, লাল শাক, শিম, ধনে পাতা ও টমেটোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব পড়তে শুরু করে হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হয় একটানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। যে কারণে জনজীবনে নেমে আসে অস্বস্থি।
বৃষ্টির কারণে হবিগঞ্জ শহরেও তেমন দেখা মেলেনি রিক্সাসহ টমটমের। ফলে জেলার উপজেলাগুলো থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। অনেককে আবার বৃষ্টিতে ভিজে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পৌছতে দেখা গেছে।
রিক্সা চালক ছালেক মিয়া জানান, আমরা নিন্ম আয়ের মানুষ । জীবিকার তাগিদে বৃষ্টির মধ্যেও বের হতে হয়। বৃষ্টির কারণে রিক্সা নিয়ে বের হলেও শহরে তেমন মানুষ না থাকায় রুজিরোজগার হয়নি। টমটম চালক আইয়ুব আলী জানান, বৃষ্টির মধ্যেও টমটম নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু কোন রোজগার হয়নি। কৃষক জালাল মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে সবজি ব্যাপাকক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমনধানের ব্যাপাক কয়ক্ষতি হয়েছে
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আশেক পারভেজ জানান, এবার জেলায় ৬ হাজার হেক্টর শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে প্রায় ২শত হেক্টর সবজির ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।