165 বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি>ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতে শুরু করেছে গরুর হাট। এর মাঝে অন্যতম হবিগঞ্জ শহরের গরুর বাজার। এখানে প্রতি বছরই জমজমাট গরুর হাট বসে। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমে উঠে বাজারটি।
শুক্রবার এ বছরের দ্বিতীয় হাট বসে হবিগঞ্জ গরুর বাজারে। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারী ও ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল নিয়ে আসেন। এর মধ্যে নামে কয়েকটি বড় আকারের গরু উঠে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় রাজা বাবু, হিরো আলম, লালচান। ক্রেতাদের নজর কাড়ে। গরু গুলো বাজারে আসতেই ক্রেতারা ভীড় করে রাখেন। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ছোট আকারের গরু কম থাকলেও বড় ও মাঝারী গরুর সংখ্যা ছিল বেশি।
পর্যাপ্ত পরিমানে উঠে ছাগলও পছন্দের ছাগলটি ক্রয় করতেও অনেক ক্রেতা ধর কষাকষি করেন। তবে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও তেমন বেচা-কেনা হয়নি। এবার ক্রেতাদের বড় গরু থেকে মাজারি গরুর চাহিদা বেশি ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বারের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছর যে আকারের গরুটি ১ লাখ টাকার মধ্যে ক্রয় করা গেছে। এ বছর একই আকারের গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে দেড় লাখ টাকার উপরে। এতে করে হিমশিমে পড়েন অনেক সাধারণ ক্রেতা।
তবে বিক্রেতারা বলছেন এ বছর অধিক দাম দিয়ে গরু ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারনে বেশি দামে বিক্রি না করলে লোকসান গুনতে হবে খামারীরা বলছেন, এবার গরু লালন-পালনে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ হয়েছে বেশি যে কারনে এ বছর বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে, বানিয়াচং উপজেলার বলাকীপুর গ্রামের কৃষক রফিক চৌধুরী বাজারে ‘রাজা বাবু’ নামে একটি গরু নিয়ে আসেন। নিজের বাড়িতে পালিত ২০ মন ওজনের গরুটি বিক্রি করতে তিনি দাম চান ৮ লাখ টাকা। গরুটি ক্রয় করতে অনেকেই দাম কষাকষি করেেত দেখা গেলেও বিক্রি হয়নি। শহরতলীর আলমপুরের বাসিন্দা মর্তুজ আলি ১৯ মন ওজনের গরু নিয়ে আসেন বাজারে। তিনি গরুটি বিক্রি করতে দাম চান সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
তবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হলে তিনি গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানান তাছাড়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুর গ্রামের কৃষক তুহিন মিয়া তার গৃহপালিত রাজা নামে একটি গরু এবার নিয়ে আসেন বাজারে। গরুটি বিক্রি করতে তিনি দাম চান ৮ লাখ টাকা। বাজার কিছুটা জমজমাট হলেও তেমন একটা বেচা-কেনা হয়নি। তবে ঈদের আগ মূহুর্তে শহর এলাকায় গরু বেচা-কেনা বাড়তে বলে মনে করছেন খামারী ও ব্যবসায়ীরা।