133 বার পঠিত
ব্যুরো চীফ ময়মনসিংহ:জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমান (৪০) নামের এক লম্পট সৎ বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করেছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুয়েল বর্মনের দাবি আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে সৎ বাবা দাবি করে বহুবার ধর্ষণ করার স্বীকার করেছে। ডিএনএ টেষ্টের জন্য কোর্টে আবেদন জানাব আর সেই ভুক্তভোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আগেই পরীক্ষায় দেয়া হয়েছে । সকল রিপোর্ট হাতে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।মামলা ও ভুক্তভোগীর মা জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের নাজিরপুরের আব্দুর রহমান (৪০) প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এরপর তাদের ঘরে একটি কন্যা (১৪) সন্তান জন্ম হয়। তার স্বামী জামালপুর শহরে স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে ঘর জামাই থাকতো । বছরখানেক আগে স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রেখে সে আরেকটা বিয়ে করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের কিছুদিন পর স্থানীয়দের সালিশের মাধ্যমে বিয়েটি বিচ্ছেদ ঘটে।
এ অবস্থায় একমাস আগে মেয়েকে নিয়ে স্বামী আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করলে সে দুরে থাকতে শুরু করে । এক পর্যায়ে গেল ২৭ মে শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মেয়েকে সিলেট নিয়ে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এক পর্যায়ে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আলী রহমানের সেচ মেশিন ঘরের আনুমানিক ৩শ গজ পশ্চিমে পাট ক্ষেতের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি বাড়িতে আসার পর মেয়ে বিস্তারিত খুলে বললো ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরে নির্যাতিতাে মা ২৮ মে রাতে বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে মামলা করে। ঘটনার পর থেকেই সেই মামলায় সে পলাতক ছিলো। অগত্যা ২ জুন দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইচচার্জ শ্যামল চন্দ্রধর কালের কন্ঠকে জানান, পলাতক আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । ভিকটিভের ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সকল ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে ।