221 বার পঠিত
সুন্দরগঞ্জে প্রতিনিধি>শীতকালিন সবজি সিম চাষে স্বাবলম্বী আতোয়ার রহমান। তার চোখে মুখে এখন রঙিন স্বপ্ন। প্রতিবছর আগাম সিমসহ নানাবিধ সবজি চাষ করেন তিনি।
যা বিক্রি করে মৌসুমি বাজার দরের চেয়ে প্রায় চারগুণ লাভ হয় তার। গত ১০ বছর ধরে সিমসহ নানাবিধ তাল-তরকারির চাষাবাদ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। তার মৌসুমি ফসলের চাষাবাদ দেখে ওই গ্রামের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক সিমসহ বিভিন্ন মৌসুমি তাল-তরকারি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
আতোয়ার রহমান গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। আতোয়ার রহমান জানান, তিনি জরমনদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তা সংলগ্ন তার ৩৫ শতক জমিতে প্রতি বছর আগাম সিম, কফি, শশা, করলা, লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করে থাকেন। সে কারণে তিনি মৌসুমি বাজার দরের চেয়ে কয়েকগুণ লাভে তাল তরকারি বিক্রি করে থাকেন।
বর্তমানে তিনি ৩৫ শতক জমিতে সিম চাষ করেছে। সবেমাত্র বিক্রি শুরু করেছে। প্রতি কেজি সিম ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তিনি আশা করছে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার সিম বিক্রি করবে। তার তাল-তরকারির চাষাবাদ দেখে অনেকে চাষাবাদ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, দিন মজুরসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ দিন-দিন কমে আসছে।
একই গ্রামের আলম মিয়া জানান, আতোয়ার রহমানের তাল-তরকারি চাষাবাদ দেখে ২ বিঘা জমিতে গত ৪ বছর ধরে চাষাবাদ শুরু করেছি। সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাচাঁমাল ব্যবসায়ী বিপ্লব মিয়া জানান, আগাম জাতের কাঁচামালের দাম অনেক বেশি। বর্তমানে এক কেজি সিম ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস পরে এর দাম হবে কেজি ৩০ টাকা।
সে কারণে যারা আগাম সবজি চাষাবাদ করতে পারে তারা অনেক লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত জমি অনেক রয়েছে। আর সবজিতে অনেক লাভ। বার মাস সবজি চাষ করা যায়। বর্তমানে ধান, গম, ভুট্টার চেয়ে সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।