228 বার পঠিত
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ সুধিয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দশ বছর যেতে না যেতেই বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতংক আছেন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী,শিক্ষক সহ অভিভাবকরা। এই অবস্থায় স্কুলের মাঠে গাছতলায় নিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরিক্ষা
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্থাগঞ্জ উপজেলার ২৫ নং সুধিয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলের মাঠে বার্ষিক পরিক্ষ নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
অভিভাবকরা বলেন অনিশ্চিত মাঝে ছেলে মেয়েকে একা-একা বিদ্যালয়ে ছেড়ে দিতে পারিনি । তারা বলছেন বার্ষিক পরীক্ষা চলছে এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলে মেয়েকে বিদ্যালয়ে সঙ্গে করে নিয়ে হয়। শুনছি স্কুলের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রায় ২ মাস আগে স্কুল ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়ায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে ভবনের বাহিরে মাঠে পাঠদান শুরু করেছেন। সড়কের পাশে স্কুল মাঠে ধুলাবালি আর রোধে পুড়ে পাঠদান চলছে। স্কুলে বর্তমানে ২৫০জন শিক্ষার্থী ৬ জন শিক্ষক ১জন দপ্তরী কর্মরত আছেন।
জানা যায়, স্কুলের এক তলা ভবন তৈরি হয় ২০০১-০২ অর্থবছরে। শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ২০১১-১২ অর্থ বছরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। গত আগস্ট মাসে হঠাৎ করে ভবনের পিলারে ও বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখাসহ ভবন দেবে যেতে শুরু করে।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে আতংক দেখা দেয়। শেষ কোন উপায়ান্তর না দেখে স্কুলের বাহিরে গাছতলায় পাঠদান ও পরিক্ষা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিন তদন্ত করে মাটি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তরিকুল ইসলাম জানায়, সামনে আমাদের পরীক্ষা চলছে পরিক্ষার পূবে আমরা স্কুলে এসে ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারছি গাড়ীর শব্দ আর ধুলাবালির কারণে লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়া যায়না।
প্রধান শিক্ষক শাহেনা আক্তার জানান, স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে মাঠেই পরিক্ষা নিতে হচ্ছে এর আগে পাঠদান করানো হচ্ছে স্কুলের মাঠে । ভবনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তিনি বলেন । এত অল্প দিনের মধ্যে কেন ভবনে ফাটল দেখা দিল বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্র/ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য আলাদা একটি টিন সেটের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত সেখানে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টিন সেটের ঘরের কাজ শেষ হয়নি ।