64 বার পঠিত
মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়া ১১ জন মাঝিমাল্লাকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। হস্তান্তর হওয়া ১১ জনের মধ্য গুলিতে মারা গেছে ১ জেলে ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরো দুই জেলে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকা ও এক জনের মরদেহ, ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন জেলে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে নোঙ্গর করে কোস্টগার্ডের জাহাজ। নিহত ব্যাক্তির নাম ওসমান গনি। তিনি টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ কোনাপাড়ার বাসিন্দা বাঁচা মিয়ার ছেলে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলারে থাকা অন্তত ৬০ জন জেলেকে আটকের খবর পাওয়ার পর বিষয়টি কোস্টগার্ডেকে অবহিত করা হয়।
কোস্টগার্ড মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে দুপুর ১২ টায় মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১ টি নৌকাসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। আহত জেলেদের টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সে সাথে আরো ৫টি ট্রলারসহ বাকি জেলেদের ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে কথা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে মাছ ধরার সময় তাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী। তারা সে সময় ৬টি ট্রলারের অন্তত ৬০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান জেলেরা।