সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি> গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রায় ১৩ ঘন্টা। বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যপ্ত হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি ফুরত-ফুরত বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে প্রতিনিয়ত বাল্ব, ফ্যান, সুইচ, ক্যাপাসিটারসহ বিদ্যুতের বিভিন্ন উপকরণ পুড়ে যাছে। বিশেষ করে সেচ মটর মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর বারী জানান, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার।
সে মোতাবেক প্রতিদিনের বিদ্যুৎ চাহিদা ২১ মেগা ওয়ার্ড। সে স্থলে দিনে ৫ মেগা ওয়ার্ড এবং রাতে ৮ মেগা ওয়ার্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। সে কারণে দিন-রাত মিলে প্রায় ১৩ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে।
দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের অটোভ্যান চালক মোনারুল ইসলাম জানান, অনেক শখ করে চার্জার অটোভ্যান নিয়েছে। কিন্তু গত একমাস ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে ফুল চার্জ দিতে না পারায় ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ভ্যান চালাতে পারছি না।
তার উপর বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সবমিলে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অটোভ্যান চালাতে গিয়ে এখন আর প্যাটেল ভ্যান চালাতে পারছি না।
ঝিনিয়া গ্রামের সেচ মটর চালক রাকিবুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া আসার কারণে মটর চালানো বিপদ হয়ে পরেছে। কারণ প্রতিদিন ক্যাপাসিটার পুড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সেচ মটর চালানো সম্ভব হবে
সুন্দরগঞ্জ পৌর বাজারের ওয়েলডিং কারখানার মালিক সাজু মিয়া জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। ১২ ঘন্টার মধ্যে ৮ ঘন্টা বিদ্যু থাকে না। অনেক মালের অর্ডার নেয়া আছে, কিন্তু বিদ্যুতের কারণে কাজ করতে পারছি না।
শামীম ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড কালার ল্যাবের দোকানের মালিক স্বাধীন বসুনিয়া জানান, বিদ্যুতের কারণে কম্পিউটার এবং ফটোষ্ট্যাট মেশিন চালানো যাচ্ছে না।
সে কারণে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মচারী চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংসার পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। এছাড়া বিদ্যুতের ফুরত ফুরত যাওয়া আসার কারণে প্রতিনিয়ত পুড়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিভিন্ন উপকরণ।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, এটি আসলে জাতীয় সমস্যা। এখানে কার কিছু করার নাই। তারপরও সরকার সমস্যা সমাধানে চেস্টা করে যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT