52 বার পঠিত
টানা ভারি বর্ষন এবং উজান থেকে আসা ঢলে বাড়ছে তিস্তার পানি ডুবছে নিচু এলাকা। পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন চরে। পৌর সভার রামডাকুয়া এলাকা অবস্থিত কেন্দ্রীয় শ্বশানঘাটে পানি উঠেছে। ঠেকানা যাচ্ছে না অব্যাহত ভাঙন। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। পানি বাড়ায় চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা , হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। ভারি বর্ষন ও উজানের ঢলে তিস্তার শাখা নদীর আশপাশ ডুবে যায় পানিতে। সেই সাথে শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
লালচামার গ্রামের মোনারুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষনের হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করায় নিচু এলাকা ডুবে গেছে। তিনি আর বলেন, নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।
হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর গ্রামের মোসলেম মিয়া বলেন, পানি বাড়লে চরের মানুষের দুঃখও বাড়ে। প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ায় তার গোটা ইউনিয়নের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। পাশাপাশি ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান, হঠাৎ ভারি বর্ষনের কারনে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমিতে পানি উঠছে। পানি স্থায়ী হলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভাঙনের কারণে কিছু চর এলাকায় ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। এতে করে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, হঠাৎ ভারি বসষনের কারণে তিস্তার নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কিছু কিছু চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগকে খোঁজ খবর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রাণ সরবরাহ করা হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উর্ধতন মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।