সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি> গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা গ্রামে বিয়ের দাবিতে ১০দিন ধরে অনশনরত প্রেমিকাকে আদালতের আদেশে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
অপরদিকে প্রেমিক শুয়াইবুর রহমান সামুর পরিবারের সদস্যরা নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে এলাকাবাসি প্রেমিক সামুর এক স্বজনকে আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাতে। সামু ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ডিল্পোমা ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করে। ছেলে মেয়ে উভয়ে সাবালোক।
জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছর ধরে প্রেম ভালবাসার এক পর্যায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১০ নভেম্বর প্রেমিক সামু প্রেমিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর সে বাড়ি হতে উধাও হয়ে যায়। গত ১০দিন ধরে প্রেমিকা তার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান করছিল।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সামুর পিতা রফিকুল ইসলামকে অতিদ্রুত বিয়ে সম্পন্ন করার পরামর্শ প্রদান দেয়। এরই এক পর্যায় গত রোববার প্রেমিক সামুর পিতা রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা আদালতে ৩০৯ ধারায় মামলা করে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অনশনরত প্রেমিকাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়। সে মোতাবেক পুলিশ সোমবার রাতে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে গতকাল মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠায়। এদিকে সোমবার রাতে প্রেমিক সামুর পিতা রফিকুল ইসলাম ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করার লক্ষে তার নিজ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এলাকাবাসি বিষয়টি দেখতে পেয়ে রফিকুলের স্বজন মাইদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এ সময় রফিকুল পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, আদালতের আদেশে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে মাইদুলকেও ১৫১ ধারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT