1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে বেপরোয়া মৌসুমি জেলেরা তৎপর নারী জেলেরা, অবাধে চলছে মা ইলিশ নিধন - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম বিনয়কাঠি ব্লাড ডোনার্স ফাউন্ডেশন(BBDF) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় ও সদস্য সংগ্রহের কর্মসূচী পালিত তিতুমীর শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণ করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ তিতুমীর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সদরপুরে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার ইবি‌তে প্রক্টর ও শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অন্তর্র্বতী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়: আসিফ মাহমুদ সাবেক মহিলা এমপি নাজমীন আটক কিশোরগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামির প্রার্থী ঘোষণা আওয়ামী লীগের মতো জবরদখল ও মাস্তানি করা যাবে না:মির্জা ফখরুল নিজের বিয়ে নিয়ে অবশেষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন সারজিস আলম

সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে বেপরোয়া মৌসুমি জেলেরা তৎপর নারী জেলেরা, অবাধে চলছে মা ইলিশ নিধন

মোঃ খলিলুর রহমান মনির
  • প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

 107 বার পঠিত

ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে আভিযানিক টিমকে পাহাড়া দিয়ে মা ইলিশ শিকার করছে মৌসূমী জেলেরা। পুরুষ জেলেদের সাথে সমান অধিকার দেখিয়ে ইলিশ শিকারে তৎপর রয়েছে নারী জেলেরাও। নদী তীরে বা আভিযানিক টিম নামার স্থানে কিছু পাতি নেতা মৌসূমী জেলেদের কাছে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে। এজন্য সরকারী বরাদ্দে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করলেও তা শতভাগ সফল হচ্ছে না। দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতি বছরের মতো এবারো ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য সরকার চাল বরাদ্দ দেয়। এরপরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাধীন সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মাছ ধরছেন অনেকে। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও কোনোভাবে থামছে না ইলিশ শিকার। নিষেধাজ্ঞার ৫/৬ দিনে কিছু জাল জব্দ ছাড়া তেমন কোনো সাফল্য নেই মৎস্য অফিসের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বিষখালী নদীর ভবানীপুর, চাঁদপুরা, হদুয়া লঞ্চঘাট, পুরান হদুয়া বাজার, নলবুনিয়া,, ইসলামপুর, তেতুলবাড়িয়া লঞ্চঘাট ও সুগন্ধা নদীর মগড় জাঙ্গালিয়া ইটভাটা,  অনুরাগ, দপদপিয়া, মাটিভাঙা এলাকায় চলছে অবাধে মা ইলিশ মাছ নিধন। জানাগেছে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা, প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী ছত্রছায়ায় মা ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। বিপুল সংখ্যক মাছ ধরা ডিঙ্গি নৌকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নদী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবানীপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর দিন  থেকেই রাত ১০ টার পর বাজারের শেষ মাথায় নদীর পাড়ে ভবানীপুর, চাঁদপুরা ও নাচনমহলের কিছু প্রভাবশালী লোক এসে জেলেদের সাথে চুক্তি করে মা ইলিশ শিকারে নদীতে নামায় এবং তারা কুলে বসে পাহারায় থাকে। তারা আরো জানায়, অভিযানের টহল টিম ভবানীপুরের দিকে দেখাই যায়না।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কোম্পানিতে কাজ করা বেশকিছু শ্রমিক বাড়িতে এসে মা ইলিশ নিধনে নেমেছে। আগে নদীতে জাল ফেললে দু-চারটা ইলিশ ধরা পড়ত। কিন্তু এ সময়ে (নিষেধাজ্ঞা চলাকালে) নদীর নির্দিষ্ট পয়েন্টে জাল ফেলতে পারলেই ডিমওয়ালা ইলিশের সঙ্গে প্রচুর ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে। জেলেরা নৌকা থেকে নামিয়ে নদীর তীরের ঝোঁপ-জঙ্গলে ও কচুরিপানার মধ্যে মাছ লুকিয়ে রাখছে। সস্তায় ইলিশ কিনতে পারায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে গিয়ে ব্যাগ ভর্তি করে এসব মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, নিষেধাজ্ঞার সময় কার্ডধারী কোনো জেলে মা ইলিশ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়লে ‘জেলে কার্ড’ বাতিলসহ তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে; প্রশাসনের এমন সর্তকতা কারণে কার্ডধারী অনেক জেলে নিজে নদীতে না নেমে নৌকা ও জাল দিয়ে মৌসুমি জেলেদের সহযোগিতা করছেন। এজন্য মাছের একটা ভাগ নিচ্ছেন তারা। এলাকার কিছু লোক নৌকা তৈরি করে মৌসুমি জেলেদের কাছে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকায় ভাড়া দিচ্ছেন। এসব মৌসুমি ইলিশ নিধনকারীরা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে নৌকাপ্রতি ২০/২৫ হাজার টাকার চুক্তি করে নদীতে নৌকা ভাসায় ইলিশ নিধনের জন্য।

এছাড়াও প্রশাসন নদীতে অভিযানে নামলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের মোবাইলফোনে জানিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয় বেশ কিছু তথ্য সরবরাহকারীকে। বিনিময়ে প্রত্যেককে ৫০০-৬০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এদের কাজ হলো নদী পাড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং নদীতে অভিযানে নামলেই মা ইলিশ নিধনকারী মৌসুমি জেলেদের সাবধান করে দেওয়া।

 জেলেরা জানান, বর্তমানে প্রচুর ইলিশ জালে উঠছে। দিনের চেয়ে রাতেই বেশি নিরাপদ। তাই তারা রাতেই বেশি জাল ফেলছেন। বিক্রির জন্য তাদের কোনো চিন্তা করতে হয় না। সাধারণ ক্রেতারা নদীর তীরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন মাছ কেনার জন্য। কিছু ক্রেতা মোবাইলফোনে  যোগাযোগ করেন। ফোন দিলেই তারা এসে মাছ নিয়ে যান।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রী বলেন, আমরা প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ার আগ থেকেই জেলেদের সরকারি নিয়ম মানতে উদ্বুদ্ধ করেছি। নিয়ংমিত টহলের পাশাপাশি আমরা যখনই সংবাদ পাচ্ছি তখনই সে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। বিষখালী নদীতে টহল পরিচালনা করেন রাজাপুুর মৎস্য অফিস।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছি ও ২জন জেলেকে আটক করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের দন্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park