ঝালকাঠি জেলার কৃতি সন্তান এ কে এম ফারুক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, রেদোয়ান খান রাজু
এ কে এম ফারুক এর জীবনাবসান! (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি
১৯৪৩- মৃত্যু: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫) ফারুক ১৯৬৩ সালে তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ বর্তমান ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এ শিক্ষকতার মাধ্যম কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
১৯৬৮ সালে থাইল্যান্ডে প্রথমে তৃতীয় সচিব ও পরে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ - ৮৫ সাল পর্যন্ত দিল্লি, ক্যানবেরা, ইসলামাবাদ, করাচী, ব্র্যাসেলস ও বাংলাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কুটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভাগের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রচার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৭-৯১ সাল পর্যন্ত ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ও অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ - ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫- ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান রাষ্ট্রাচার ও অতিরিক্ত সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে সচিব পদমর্যাদায় গণচীনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।
পরবর্তীতে তিনি হাসেম- মতিয়া বেগম শিক্ষা তহবিল এর সভাপতি, সার্ভ দি পিপল এর প্রধান পৃষ্টপোষক, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং বিভিন্ন দূতাবাসে কুটনৈতিক ও রাষ্ট্রাচার বিষয়ের উপর কাজ করেছেন।
১৯৬১-৬২ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
বিভাগের সেই মেধাবী জনাব ফারুক ৮২ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে গত ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুবরন করেন,,তিনি স্ত্রী এবং দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে যান, তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন আমিন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT