290 বার পঠিত
ফরিদপুরের সদরপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। যে সব রোগীর অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় উপনীত হয় তাদের ফরিদপুর ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রেফার করা হয়। এই সুযোগ নিয়ে ঔষুধ ব্যবসায়ীরা বাজারে স্যালাইন সরবরাহের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে চারগুণ বেশী দামে বিক্রয় করছে। ৭৫ টাকার স্যালাইন বিক্রী হচ্ছে ৩০০ টাকায়। তাও পাওয়া যাচ্ছেনা। এদিকে বাজারে ডাবের মূল্যও অনেক বৃদ্ধি। ৫০ টাকার ডাব ২০০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। ঔষুধ স্যালাইন ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে ডেঙ্গু মশা ও অন্যান্য মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেই।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের জন্য হাসপাতাল থেকে রোগী প্রতি ১ ব্যাগ স্যালাইন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে কিন্তু প্রয়োজন ৫ থেকে ১০ ব্যাগ স্যালাইন। বাকি স্যালাইন ৩ চারগুণ বেশী দামে বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। দোকানে কিনতে গেলে খুচরা ঔষুধ ব্যবসায়ীরা বলছে স্যালাইন নেই অথচ বেশি মূল্য দিলে ১ বা ২ ব্যাগ স্যালাইন আছে বলে জানায়। ব্যবসায়ীরা আরও জানায় বেশি মূল্যে স্যালাইন কিনে বেশি মূল্যে বিক্রী করা হয়।
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন উৎসের তথ্য নিয়ে জানা যায় আজ পর্যন্ত সদরপুর উপজেলার চার পাচ’শ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে আনুমানিক ১৩ জনের মত মৃত্যু হয়েছে। তবে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওমর ফয়সাল বলেন, সরকারিভাবে আমাদের কাছে স্যালাইনের যে বরাদ্দ আছে তাই দিতে পারি, বাকিগুলো রোগীর স্বজনদের বাজার থেকে কিনে আনতে হয়। বাজারে স্যালাইন সংকট আছে কিনা বলতে পারব না।
সদরপুর উপজেলা ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ভোলানাথ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাহাত বলেন, কোম্পানি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন সরবরাহ করছে না। তাই বাজারে স্যালাইন সংকট দেখা দিচ্ছে। বেশি দামে বিক্রয় করার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। যদি কেউ বেশি দামে বিক্রয় করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।