ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরের শ্যামপুর গ্রামে যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে সুলতানা রহমান (২৪) নামে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক প্রসূতি মায়ের করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
ওই মায়ের ২বছরের আরেকটি কন্যা শিশু মাকে হারিয়ে শুধু অঝোরে কাঁদছে ও চোখের পানি ফেলছে। এ মৃত্যুতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা গভীরভাবে শোকাহত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শনিবার বিকেলে স্থানীয় দশ হাজার গোরস্থানে নিহতের মরদেহ সমাহিত করা হয়।
নিহতের স্বামী সদরপুরস্থ বেপারী মোটরসের স্বত্বাধিকারী জাহিদ বেপারী জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে স্থানীয় গাইনী ডাক্তারের কাছে আমার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর চেক আপের সময় ডেঙ্গু টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ে। ঐ দিনই তাকে ফরিদপুর আরোগ্য সদন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডা. ফাহমিদা জেসমিনের অধীনে সন্তান প্রসব (সিজারের) জন্য ভর্তি করা হয়। সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া আমাদের দুই যমজ পুত্র সুস্থ্য থাকলেও রক্তে প্লাটিলেড কমে যাওয়ায় তার (নিহত সুলতানার) অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন ডা. ফাহমিদার ভুল চিকিৎসার জন্য আমার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুলতানা রহমান চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মোলামেরটেক গ্রামের মাজেদুর রহমানের কন্যা।
অপরদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে উম্মে হালিমা পানসি (২৭) নামের এক কণ্ঠশিল্পী গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। সে উপজেলার চরবন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা ও সদরপুর শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত গায়িকা। তিনি সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামের আঃ সামাদ ফকিরের কন্যা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হলে পানসিকে গত সপ্তাহে প্রথমে সদরপুর থেকে ফরিদপুর মেডিক্যালে নেয়া হয়। এরপর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উম্মে হালিমা পানসি বিবাহিত ছিলেন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়ার পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT