1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
"সংকটময় সময়ে নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত খোঁজা" - দৈনিক দেশেরকথা
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম তিতুমীর শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণ করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ তিতুমীর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সদরপুরে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার ইবি‌তে প্রক্টর ও শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অন্তর্র্বতী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়: আসিফ মাহমুদ সাবেক মহিলা এমপি নাজমীন আটক কিশোরগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামির প্রার্থী ঘোষণা আওয়ামী লীগের মতো জবরদখল ও মাস্তানি করা যাবে না:মির্জা ফখরুল নিজের বিয়ে নিয়ে অবশেষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন সারজিস আলম এবার একদফা ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

“সংকটময় সময়ে নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত খোঁজা”

ইবতেশাম রহমান সায়নাভ
  • প্রকাশ শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

 57 বার পঠিত

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ নেতৃত্ব। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তারা খুঁজছেন সমাধানের নতুন পথ। জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তাদের সাহসী ভূমিকা প্রশংসনীয়। আজকের রাজনীতি কীভাবে বদলে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভাবনা, তাই উঠে আসবে এই আলোচনায়। এটি নেতৃত্ব আর জনমতের এক নতুন দৃষ্টিকোণ।

রাজনীতির প্রতিটি মোড়ে সংকট যেন অবধারিত। কিন্তু এই সংকটই কখনো কখনো নিয়ে আসে নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা। যখন সমাজে বিভক্তি, অবিশ্বাস ও সংঘাত চরমে পৌঁছে, তখনই উদ্ভব হয় সাহসী নেতৃত্বের। নেতৃত্বের এই নতুন ধারার উদ্দেশ্য কেবল ক্ষমতার লড়াই নয়, বরং জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে সমাধানের পথ তৈরি করা। তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কি নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব এক বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উঠে আসে। যখন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা চরম আকার ধারণ করে, তখনই মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া এবং পরিবর্তনের জন্য কার্যকর নেতৃত্ব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। এই নেতৃত্বে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি বা দলের স্বার্থ নয়, বরং একটি বৃহত্তর স্বার্থে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য থাকে। সংকটময় সময়ে নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করা এবং টেকসই সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বের ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন দৃষ্টান্তে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্ব সবসময়ই পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

সংগ্রামী আন্দোলনে অংশগ্রহণ:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনগুলোতে তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদ, সংগ্রাম এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছে।

 সাম্প্রতিক ছাত্র ও যুব আন্দোলন:

২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্ব বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। যুবকরা রাজনৈতিক, পরিবেশগত এবং সমাজসেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নেমেছে এবং দাবি তুলেছে।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রজন্মের আগমন:

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা নতুন চিন্তা-ভাবনা এবং সৃজনশীল পন্থায় তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।

সামাজিক উন্নয়ন এবং নেতৃত্বের উদ্ভব:

তরুণ নেতৃত্ব শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক উন্নয়নে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা প্রতিষ্ঠা করেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পরিবেশবাদী আন্দোলন এবং সমাজসেবামূলক কার্যক্রম।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্ব:

বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণরা উদ্ভাবনী নেতৃত্ব দিচ্ছে। তরুণ উদ্ভাবকেরা বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, এবং অন্যান্য স্টার্টআপ উদ্যোগে সফলতা অর্জন করছে।

বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বের সামাজিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। সমাজে পরিবর্তনের জন্য তরুণ নেতৃত্ব সবসময়ই একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তরুণরা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার প্রসার, পরিবেশ রক্ষা, শিশুদের অধিকার ইত্যাদি। তারা জনগণের জন্য সামাজিক পরিবর্তন এবং উন্নয়নের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে। 

তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। যেমন: শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, যুবক-কিশোরদের ক্ষমতায়ন, এবং প্রতিবন্ধী অধিকার উন্নয়ন। তারা এই সকল ইস্যুতে সরকারকে একটি চাপ দিচ্ছে এবং সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে তাদের চিন্তা-ভাবনা, সমস্যা এবং সামাজিক কার্যক্রমগুলো প্রচার করছে। এটি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি নীতিমালা সংশোধন এবং অধিকতর কার্যকর সমাজে নেতৃত্ব প্রদানে সহায়ক হচ্ছে।

তরুণ নেতৃত্ব নানা সামাজিক বৈষম্য, ধর্মীয় ও জাতিগত দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা একটি পরিমিত এবং সহনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে যেখানে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

তরুণরা নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ও সংস্কার প্রবর্তন করছে যা সমাজে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে। তারা সামাজিক বৈষম্য, বঞ্চনা, এবং শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে এক একটি সমাজকে আরও টেকসই করতে চায়।

তরুণ নেতৃত্ব একটি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্ব একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তারা শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে উন্নত করতে কাজ করছে। তরুণরা সমাজের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় এবং ভবিষ্যৎ একটি সুশৃঙ্খল, সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তাদের নতুন চিন্তা-ভাবনা, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং সংকট নিরসনে অবদান সমাজের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park