83 বার পঠিত
স্বাধীন দেশে ন্যায্য অধিকারের কথা বলতে পারতো না কেহ, এদেশের মানুষ একটি প্রাণের কথা বা একটি দাবি তুললেই তাকে রাজাকার উপাধি দিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিল, আর এই দেশেই স্বাধীনতার স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতো না কেহ। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কাজ করতেন স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা নিজেই।
সাধারণ মানুষের অর্থনীতি স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে স্বর্গের রাজ্যে বাস করতেন আওয়ামী লীগ এই সরকার।
হসপিটাল থেকে শুরু করে নদীর ঘাট পর্যন্ত কোন স্থানেই বাদ ছিল না তার চাঁদাবাজি দুর্নীতি অপহরণ, দেশের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে অন্যায় ভাবে এদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাখত। কোন ব্যক্তি যদি তার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাহলে তাকে গুম করে ফেলতো। তার গুন্ডাবাহিনী দল- আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সহ অনেক ধরনের লিগ নামক সন্ত্রাসী বাহিনী দারা।
দেশের মানুষ নির্যাতন নিপীড়নের শিকার ছিল, হামলা নির্যাতন ও হত্যা সহ হুমকির মুখে ছিল দেশের মানুষ।
শেখ হাসিনা ছিল একজন ইসলাম বিরোধী, ইসলাম নিয়ে কথা বলায় মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা, এবং ইসলাম নিয়ে কথা বলায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে রাজাকার উপাধি দিয়ে বন্দী করে রাখেন এবং ষড়যন্ত্র করে তাকে মেরেও ফেলেন ।
তার ক্ষমতা হাসিলের জন্য বলির পাঠা হয়েছে এদেশের অনেক মানুষ।
সাংবাদিক সাগর রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এই স্বৈরাচার।
জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সবখানেই গুন্ডাবাহিনী আওয়ামীলীগের তোপের মুখে ছিল সাধারণ মানুষ।
দ্রব্যমূল্যের উদ্যগতির যন্ত্রণায় শান্তিতে নেই এ দেশের মানুষ, যেখানে এক কেজি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৯০ টাকা, বিগত কয়েক বছরে সেই সয়াবিন ১৮০ টাকায় পরিনিত হয়েছে। ৩০ টাকার চাল কিনে খেতে হচ্ছে ৯০ টাকা কেজিতে, ৩০ টাকার পিয়াস কিনতে হয় ১২০ টাকা কেজি ধরে। যেই বয়লার মুরগির দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, সেই বয়লার মুরগিটাও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-৭০ টাকা, যেই পাঙ্গাস মাছের দাম ছিল ৮০টাকা সেই পাঙ্গাস এখন ১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে হতভাগা জনগণকে।
যেইখানে নির্বাচনে আসার আগ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের বক্তব্য ছিল এমন যে, তারা জনগণকে দ্রব্যমূল্যের দাম হাতের নাগালে নিয়ে আসবে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করার অঙ্গীকার করেছিল, অথচ ১৬ বছরের এই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় দ্রব্যমূল্য ক্রয় করতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। প্রত্যেকটি সেক্টরে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজির ফলে দেশ ৫০ বছর আগানোর বদলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পিছিয়ে পড়েছে দেশ।
দেশের টয়লেট স্টেশন থেকে শুরু করে সব জায়গায় চাঁদাবাজি করতো আওয়ামীগ। আর এই আওয়ামী লীগের মাফিয়া ছিল শেখ হাসিনা।