বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবীর মুখে পুনরায় প্রক্টরের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর প্রক্টর ড. মোহাম্মদ কামারুজ্জামান।
সরকার পতনের পর গত ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগের আগ মুহুর্তে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজনকে অব্যাহতি দেন। এরপর অব্যাহতি প্রত্যাহারের কাগজেও স্বাক্ষর করেন তিনি। প্রত্যাহারের পর সবাই স্ব-স্ব পদে ফিরলেও ফিরেন নি বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে পুনরায় দায়িত্বে ফেরত আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, "আন্দোলনের সময় প্রক্টর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ভূমিকা রাখায় যেসব ব্যক্তিরা ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছিল, তারা প্রক্টরকে সরিয়ে আবারো ফ্যাসিবাদের পক্ষের লোকদের প্রক্টর করার ষড়যন্ত্র করেছিলো। কিন্তু আমরা আন্দোলন করেছি কোটা সংস্কারের পক্ষে, আমরা আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারের বিপক্ষে। আমরা চাই প্রক্টর তার দায়িত্ব পালন করুক।"
পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে আবারও দায়িত্বে ফিরতে বাধ্য হন প্রক্টর মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করে বলেন, "নতুন উপাচার্য আসা অব্দি এবং উনি সিদ্ধান্ত দেয়া অব্দি তোমাদের প্রয়োজনীয় সব স্বাক্ষর ও নিরাপত্তা জনিত আইনী রুটিন ব্যবস্থা গুলো আমি আপদকালীন সময় বিবেচনায় করবো। রুটিন দায়িত্বের মতো। কিন্তু নতুন উপাচার্য এসে উনি একজনকে দায়িত্ব দিলে আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করবো,যাকেই দিক। আপাতত আমি যতটা পারা যায়,জরুরি মুহুর্তের বিষয়গুলো দেখবো। কিন্তু তোমাদের কথা দিতে হবে, অতিদ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে,সেশনজট কমাতে,অপরাজনীতির বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করবা।"
আন্দোলনের সময় প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন বিভাগের শত-শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রক্টরের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও এসে প্রক্টরকে অনুরোধ করলে তিনি তার দায়িত্বে ফেরত যেতে সম্মত হন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT