চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে কাজ করা তৃণমূলপর্যায়ের এই আন্দোলনটি স্থানীয়ভাবে ‘হিবাকুশা’ নামেও পরিচিত। মূলত পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়, এটি প্রমাণের প্রচেষ্টার জন্য সংস্থাটিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে জাপানের দুই শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে। এর সদস্যরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপর্যয়মূলক মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। ধীরে ধীরে সংস্থাটির আন্দোলন একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক আদর্শ গড়ে ওঠে। সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করেছিল। এর মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি। আর প্রতিষ্ঠান ৮৯ টি।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পান ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ওই তরুণীকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT