1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
মতলবে  ৭০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন  - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

মতলবে  ৭০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন 

শহিদুল ইসলাম খোকন
  • প্রকাশ শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
desherkotha

 103 বার পঠিত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের  দক্ষিণ হাজী বাড়িতে আদালতের নির্দেশে ৭০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

২রা জুলাই শনিবার দুপুরে মজিবুর রহমান (৪০) নামের ব্যাক্তির লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করেছে। মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতের নির্দেশে ক্রমে, একজন  নির্বাহী ম্যাজিস্টেট, মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের উপস্থিত এ লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শেষ হয়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার  ঘোনা গ্রামের খলিলুর রহমানর বড় ছেলেমো. মজিবুর রহমান  রহমান  মুন্সি গন্জের সিপাই পাড়া মদিনা প্লাজায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন।

সে সুবাদে প্রায় ১০ বছর আগে  মুন্সিগন্জের বল্লোল এলাকায়  রিনা বেগম (৫০), নামে স্বামী পরিত্যাত্তা নাড়ীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্ত্রী রিনা বেগম  মজিবুর রহমানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্দ করতে বাধ্য করান। 

কিন্তু ২২ এপ্রিল  মজিবুর মৃত্যুর সংবাদ মুন্সিগঞ্জের এক ব্যাক্তি ফেন দিয়ে মজিবুরের পরিবারকে জানায়। গাড়ি করে লাশ পাঠিয়ে দিলে লাশের সাথে স্ত্রী কিংম্বা শশুর বাড়ির কেউ আসনি।এমনকি খোঁজখবরও নেননি।
কিছু দিন পর মজিবুরের মোবাইলে থাকা ডকোমন্ট, বন্দুদের কথাবার্তা ও গোষল দেওয়া ব্যাক্তিদের কথা শুনে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে মজিবুরের পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে পুত্রবধু রিনা বেগম, সিজলিং রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাওনসহ আরো অগ্জাতনামা ৫/৬ জনকে আসানী করে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার সূত্রধরে ২রা জুলই মজিবুরের লাশ কবর থেকে উত্তোনল করা হয়েছে।ঘোনা গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে রোবেল জানান, আমি লাশের গোসল দিয়েছি, তখন লাশের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। তাছাড়া লাশের গাড় ও মাথা বাকানো ছিল। 

নিহতের ছোট ভাই গোলাম রাব্বাী বলেন,বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে জানায় স্ত্রী। যারা গোষল করাইছে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নে দেখতে পেয়েছে। 

মজিবুরের ছোট বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবী তার লোকজন নিয়া মেরে ফেলেছে। ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি। রিনা বেগম একবার বলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, একবার বলে হার্ট এটাক করে মারা গেছে আবার বলে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।

 নির্বাহী ম্যজিস্টে ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি  সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালত ও চাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্টেটের নির্দেশ ক্রমে মজিবুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় এখানে আবার দাফন করা হবে। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী মজিবুরের পিতা খলিলুর রহমান জানান, আমার ছেলের সম্পত্তির আত্মসাৎ করার জন্য রিনা বেগম, শাওন ও আরো কয়কজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হতয়া করেছে। আমি হতয়া কারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই এবং ফাঁসি চাই।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park