152 বার পঠিত
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কোচিংয়ে একা পড়ার সময় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক গনিত শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বরখাস্ত করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার হায়দরগন্জ মডেল স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৫ দিনে ব্যবধানে পৃথক দুই ছাত্রী দুই শিক্ষক দ্বারা যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত গনিত শিক্ষক সোহাগ অধিকারি (২৫) রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউপির ক্যাম্পেরহাট এলাকার দিপঙ্কর অধিকারীর ছেলে। তার স্ত্রী ও ৬ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এছাড়াও গত ৭ নভেম্বর সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানীর অভিযোগে ধর্ম শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষক ইসমাইল চাঁদপুরের চরভৈরবি ইউপির আকন্দ গ্রামের জয়দালের ছেলে।
জানা গেছে, শনিবার রায়পুরের হায়দরগন্জ মডেল স্কুলে ৮ম শ্রেণীর গনিত বিষয়ে কুচিংয়ে পাঠদান করছিলো । ছুটি শেষে অন্যরা চলে গেলেও ওই ছাত্রী একা গনিত করছিলো। এই সুযোগে ওই ছাত্রীর পিঠে, বুকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন গনিত শিক্ষক সোহাগ অধিকারি।
বিষয়টি ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানালে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগসহ শাস্তির দাবি করেছিলেন। কিন্তু স্কুলের প্রভাবশালী এক শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষককে জুতাপেটা দিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর মামা ও ভাই সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ছোট মেয়ের সাথে যৌনহয়রানীর ঘটনায় আমরা গনিত শিক্ষকের বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সোহাগ অধিকারির মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে বাড়ীতে যাওয়া হয়। এসময় তার মা বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা তো কিছুই জানিনা। সোহাগ তার স্ত্রী ও সন্তানের কাছে চট্রগ্রামের সন্দিব চলে গেছেন। খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আমি তিনদিন ধরে ছুটিতে রয়েছি। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তা জেনে আপনাকে জানাবো।এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শৃংখলা ভঙ্গ ও সম্প্রতি একই অভিযোগে ধর্মীয় শিক্ষককেও অব্যহতি দেয়া হয়েছে।