রাজাপুর প্রতিনিধি> ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে স্বড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার ২৩ মে সকাল ১১ টায় মুক্তিযোদ্ধা মিলনকেন্দ্র মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মৃর্ধা,স্বপন তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম খান,সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাসির মৃর্ধা,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ বাবু,সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মৃর্ধা সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীল লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হায়দার খাঁন লিটন লিখিত বক্তাব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি বলেন, জীবনদাসকাঠী এন.এ.এস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে গত ১৮ মে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানবন্ধন করেছে।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আনুষ্ঠানিক ভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। তাদের উস্কানী মূলক কথাবার্তার সুত্র ধরে ১৯ মে জীবনদাসকাঠী এলাকায় হামলায় খলিলুর রহমানের পুত্র মোঃ নাইম হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ ঘটনায় রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
অথচ কয়েকজন নারী নিজেদেরকে অভিবাবক পরিচয় দিয়ে ২২ মে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে যা উপজেলা আওয়ামীলীগের দৃষ্টিগোচর হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করে বলা হয় মাদ্রাসার সাবেক সভাপতিকে ২০১৫ সনে প্রতারনা মূলক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং মানষিক চাপ প্রয়োগ করে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে সংশিষ্ট দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে আবুল কালাম আজাদ সভাপতি নিযুক্ত হয়।
অথচ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের নিরলস প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা ভবন নির্মান, কম্পিউটর ল্যাব স্থাপন সহ ব্যপক উন্নয়ন কর্মকান্ড মাদ্রাসায় চলমান। আমরা রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ১৯ মে হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT