170 বার পঠিত
রাজাপুর প্রতিনিধি> ঝালকাঠির রাজাপুরে রাতে টহলরত পুলিশের রাইফেল থেকে বের হওয়া গুলিতে চা দোকানী মনির মাহমুদ আহতের ঘটনায় কনস্টেবল নূরুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজাপুর থানার তারাবুনিয়া বাজার
এলাকায় গত ২৪ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হয় ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে। আহত মনির মাহমুদ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের রোলা এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সে
লেবুবুনিয়া বাজারে ছোট্ট একটি দোকানে চা, পান বিক্রি করে উর্পাজন করে সংসার চালাতেন।
গুলিবিদ্ধ মনির বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন । তবে অর্থ সংকটের কারনে চিকিৎসা ব্যয় বহনে
অনেকটা পিছিয়ে পরার কথা জানায় মনিরের পরিবার। পরিবারের অন্যরা
বলেন, দোকান বন্ধ থাকায় ঘরে এক দিনের (চাল/ডাল) খাবারও নেই। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আহতের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত মনির জানায় ‘লেবুবুনিয়া বাজারে ২৪
ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাত সারে ১২ টায় টহলে আসেন থানা
পুলিশের এসআই আজাদ সহ একটি টিম । তখন আমি দোকানে চা বানাচ্ছিলাম। হটাৎ কনস্টেবল নূরুল
ইসলাম এর হাতে থাকা বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে চায়ের কেটলী দুমরে মুচরে গিয়ে গুলি আমার পায়ে লাগে। তারপর পুলিশের লোকেরাই
আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার সময় সেখানে দায়িত্বরত রাজাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক
(এস.আই) আজাদ জানান, ‘আমরা টহল দিতে লেবুবুনিয়া বাজারে যাই।
সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে উঠতেছিলাম তখন হটাৎ করে কনস্টেবল নুরুল ইসলামের আগ্নেআস্ত্র থেকে একটি মিস ফায়ার হয়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, ‘হাটার সময় মিস ফায়ার হয়ে কনস্টেবলের হাতিয়ার থেকে গুলি বের হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তি মুমুর্ষ অবস্থায় নেই। তার চিকিৎসার খোজ খবর আমরা (পুলিশ) নিচ্ছি। আর্থিক বিষয়টিও দেখছি।
জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, এ ঘটনায় আহত মনির মাহমুদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ রাখা হচ্ছে এবং কনস্টেবল নূরুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।