বর্ধিত দুইদিন শেষে পর্দা নামল অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর। মেলা শেষে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী এ বছর মেলায় আনুমানিক ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ১ মার্চ পর্যন্ত মেলায় এসেছেন প্রায় ৫৯ লাখ দর্শনার্থী। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে একাডেমির উপপরিচালক শাহেদ মন্তাজ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, অতিরিক্ত দুইদিনসহ সর্বোমোট ৩১ দিন শেষে মেলায় এবার নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ও সচিব খলিল আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্পন্ন সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ পুরস্কার দেওয়া হয়। বইমেলায় নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট), বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত ‘একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত ‘যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত’ গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত ‘কিলো ফ্লাইট’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস প্রকাশনীকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়।
শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে ২০২৩ এ গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় ময়ূরপঙ্খিকে।
মেলার শেষ দিন মেলা প্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় দেখা যায়। স্টল এবং প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মীদের ব্যস্ততাও চোখে চোখে পড়ে।
এদিকে বিগত কয়েক বছরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে আনুমানিক ৪৭ কোটি, ২০২২ সালে সাড়ে ৫১ কোটি, ২০২১ সালে ৩ কোটি ১১ লাখ এবং ২০২০ সালে ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT