225 বার পঠিত
সদ্য মেডিকেল চান্স পাওয়া মেহনাজের দায়িত্ব নিলেন একটিভ গ্রুপের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চাটখিল মহিলা কলেজের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির
২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মাহবুবা মেহেনাজের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন তার বাবা-মা। সেই মাহবুবা মেহেনাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেহেনাজের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির।
মেহেনাজের এমবিবিএস পড়াকালীন সময়ে যেকোনো আর্থিক সংকটে পাশে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে তার হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেন কলেজ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির।
চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চাটখিল উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একটিভ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। এসময় তিনি বলেন, এই কলেজ থেকে যারাই মেডিকেলে চান্স পাবে, কলেজটির সভাপতি হিসেবে সবাইকে আমি আমার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবো ইনশাআল্লাহ।
জানা যায়, মাহবুবা মেহেনাজ চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসানের চার মেয়ের মধ্যে জৈষ্ঠ্য। মেহেনাজের মা মারজাহান বেগম একজন গৃহিণী। মেহেনাজ কড়িহাটি ছালেমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০২১ সালে জিপিএ-5 পেয়ে দাখিল পাস করেন। পরে স্থানীয় চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে জিপিএ-5 উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। মেহেনাজ এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে জাতীয় মেধায় ১০৩৪তম স্থান লাভ করেছেন। তিনি তার পছন্দের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
মাহবুবা মেহেনাজের বাবা কামরুল হাসান জানান, ‘শিক্ষক হিসেবে যা বেতন পাই তা দিয়ে পরিবারের সবাইকে চালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের পড়াশোনা চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আমার মেয়ে টিউশনি করে নিজের খরচ চালাতো। আমার স্ত্রী ঘরের কাজের পাশাপাশি সেলাই মেশিনের কিছু কাজ করতো। সেই আয় আমাদের পারিবারিক কাজে লাগতো। মেয়ের স্বপ্ন মেডিকেলে পড়ার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছি। তবে সামনে অনেক খরচ। নতুন জায়গায় টিউশনি পেতে সময় লাগবে।
একটিভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, মেধাবীরা সংগ্রামী হয়। আমিও সংগ্রাম করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে ব্যবসায় সফল হয়েছি। মাহবুবা মেহেনাজের সংগ্রামের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আগামীতেও মেহেনাজের খোঁজ খবর রাখবো। তার পাশে অভিভাবক হিসেবে থাকবো।’