1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
মাম্পস কি? - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

মাম্পস কি?

আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ
  • প্রকাশ সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩

 184 বার পঠিত

🍅

মাম্পস হল একটা সংক্রামক ভাইরাল সংক্রমণ যা শিশুদের মধ্যে সাধারণ। এটি হল একটি অবস্থা যাতে মুখের একপাশে কানের নীচে উপস্থিত স্যালিভারি গ্রন্থি আক্রান্ত হয় এবং বেদনাদায়ক ফোলা সৃষ্টি হয়।ইহা এক প্রকার স্পর্শক্রমক এবং শিশুদের মধ্যে অধিক দেখা যায়। কানের নিচে কর্ণমূল নামক যে গ্রন্থি আছে উহা প্রদাহিত হয়ে ফুলে উঠে। লালবর্ণ ও শক্ত হয়। শিশুদের জ্বর হয়,খেতে বা গিলতে খুব কষ্ট হয়।আক্রান্ত গ্রন্থি খুব ফুলে ওঠে ব্যথা করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা ও গরমে ইহা হয়।টাইফয়েড, সেপটিক জ্বরের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দেখা দেয়।

🍅এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?

মাম্পস ভাইরাসের সংক্রমণের ১৪ থেকে ২৫ দিনের পরে উপসর্গগুলির বৃদ্ধি হয়। কিছু উপসর্গ নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

মাথাব্যথা।

১.ফোলা, সংবেদনশীল চোয়াল।

৩.গাঁটে ব্যথা।

২.মাংসপেশীতে ব্যথা।

৪.চোয়াল ফুলে যাওয়া।

৫.শুকনো মুখ।

৬.খিদে কমে যাওয়া।

৭.জ্বর।

৮.দুর্বলতা।

৯.টেস্টিকুলারে ব্যথা।

১০.দ্বিধা।

১১.বিরক্তিভাব।

#এর প্রধান কারণগুলো কি কি?

প্যারামাইক্সোভাইরাস ফ্যামিলির ভাইরাসের কারণেই মাম্পস হয়। এই ভাইরাস নাক বা মুখের মাধ্যমে বায়ুর দ্বারা প্রবেশ করে। এইভাবেই, এটা বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায়। সংক্রামিত ব্যক্তির জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে হাঁচি এবং কাশির সময় তাদের মুখ এবং নাক ঢেকে রাখা যাতে অন্য ব্যক্তির মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।

# এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?

🌻সনাক্তকরণঃ

অতীতে মাম্পসের টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা তা দেখা।

গলা এবং কানের শারীরিক পরীক্ষা করা।

ভাইরাস এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি নির্ণয়ের জন্য রক্তপকরীক্ষা করা।

ভাইরাস নির্ণয়ের জন্য মুখের/বুক্কাল সোয়াব পরীক্ষা করা।

প্রস্রাব পরীক্ষা করা।

🌻চিকিৎসাঃ

এটা ভাইরাসের দ্বারা সৃষ্টি হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিকস কোনো কাজ করে না। যতক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ততক্ষণ চিকিৎসাটি উপশমক উপসর্গগুলির উপর মনোযোগ দেয়। অস্বস্তিতে আরাম দিতে স্তরগুলি অনুসরণ করুনঃ

১.সংক্রমণের ছড়ানো প্রতিরোধ করতে অন্যদের থেকে আলাদা থাকা।

২.ফোলার জন্য গরম অথবা ঠান্ডা সেঁক।

৩.সেইসব খাবার এড়িয়ে চলুন যেগুলি চিবানোর প্রয়োজন; নরম খাবার খেলে ভাল হয়।

৪.প্রচুর পরিমানে তরল গ্রহণ করুন।

🌻প্রতিরোধঃ

মেসেলস, মাম্পস, রুবেল্লার (এমএমআর) টিকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শ অনুসারে, সমস্ত শিশুকে দুই ডোস এমএমআর টিকা দেয়া উচিত, প্রথমটা ১৫ মাস বয়সে এবং দ্বিতীয়টা ৪-৬ বছর বয়সে। মার থেকে শিশুর শরীরে আসা অ্যান্টিবডিস থেকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য এটা জন্মের পরে ২৮ দিনে দেওয়া হয়।

🍅 পরামর্শঃ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এলোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park