1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
মাধবপুরে শিকারীদের ফাঁদে বিলুপ্তির পথে কৃষকের বন্ধু সাদা বক - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম শাহজাহান ওমরকে কারাগারে প্রেরণ, আদালত প্রাঙ্গনে জুতা-ডিম নিক্ষেপ সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর গ্রেফতার বেরোবিতে ”ক্লিন ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস” শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত  বিএনপির সভাপতির আমন্ত্রণে আমুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতি সভায় অতিথি! নতুন আইজিপি বাহারুল,ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত রাজাপুরে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  গলাচিপায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ,নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান,এলাকায় উত্তেজনা জুলাই গণহত্যার সুপ্রিম কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক পুলিশপ্রধান অটো রিক্সার বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো জাবি শিক্ষার্থীর প্রাণ প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা

মাধবপুরে শিকারীদের ফাঁদে বিলুপ্তির পথে কৃষকের বন্ধু সাদা বক

লিটন পাঠান
  • প্রকাশ বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

 223 বার পঠিত

মনে পড়ে গেল শৈশবে পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের “বৃষ্টির-ছড়া” কবিতার পংক্তি ‘বকের সারি কোথায় রে’ লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নদীনালা খাল বিল ও অনেক বড় বড় দিঘি রয়েছে। এসব থাকা স্বত্তেও আগের মতো বক ও বকের সারি আর চোখে পড়ে না। কয়েক বছর পূর্বেও বকের বিচরণ ছিল ব্যাপক হারে। শিকারীরা বিভিন্ন পন্থায় বক শিকার করে তা আজ বিলুপ্তির পথে। বক শিকারীরা বাঁশের চিপ দিয়ে গোলাকৃতির খাঁচা বানায়। তা আড়াই ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতায়। ওই খাঁচার বাহিরের দিকে বেতের পাতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে দেওয়া হয়। উপরের দিকে দিয়ে বেত পাতা খাড়া ভাবে লাগিয়ে শিকারী এ ফাঁদের ভিতরে ঢুকে পালিত বকের সাহায্যে কৌশলে বক শিকার করে।

আবার অনেকে নাইলন সুতায় গিট দিয়ে সুতার মাথা কাঠির সাথে বেধে ক্ষেতের আইলে শক্তভাবে বসিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে সন্ধ্যায় বক যখন বাসায় ফিরে তখন মার্বেল পাথর অথবা এটেঁল মাটির গোলাকৃতির গুলি বানিয়ে বাঁশের গোলাইনের সাহায্যে গুলি করে শিকার করে বক। আবার অনেক সাহেব লোক এক নলা বন্দুক ও দুই নলা বন্দুক দিয়ে বিলের পাড়ে থাকা বকের ঝাঁকের উপর গুলি করে বক শিকার করে। অনেকে কলের উপর মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে বর্শির মধ্যে মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে বড় দিঘিতে। অনেক বক শিকারী বক শিকার করে জীবিকা নিবার্হের জন্য বাজারে নিয়ে আসে বক। খাওয়ার জন্য অনেকে তা কিনে নিয়ে যায়। অনেক ছেলেরা তা কিনে পালন করে। 

বকের প্রধান খাদ্য মাছ। বর্তমানে নদীনালা খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বকের খাদ্যের সংকটে বকের প্রজনন কমে গেছে। উপজেলার বুল্লা বিল, মাধবপুর বিল, বৈচা বিল, বাকসাইর বিলে, বুল্লা বিল, বাকসাইর বিলে কিছুকিছু বক চোখে পড়লেও অন্যবিলে পানি শূন্য থাকায় বক চোখে পড়ে না। মুরাদপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান জানান, পানি শূন্যতায় মাছের আকাল ও বন উজার হওয়ায় বকের বাসস্থান নষ্ট ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ছোট ছোট ডোবা, নালা, জলাশয় সেচে মাছ ধরার কারণে এখন বক শুন্য হতে চলেছে। পরিবেশবিদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করেন নদী উজানে পানি শূন্য নদী ও বন জঙ্গল উজারের কারণে বাসস্থান ধ্বংস ও বক শিকারের কারণে বক এখন আমাদের পরিবেশ থেকে হারাতে চলেছে। বক প্রজাতি রক্ষার্থে জনগণের সচেতনতা একান্ত দরকার।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park