দেহের বাড়তি ওজন কমাতে মানুষ কত কিছুই না করে। বিভিন্ন উপায় খোঁজে মেদ ঝরানোর। জিমে যাওয়া, ডায়েট প্ল্যান, যোগব্যায়াম করা, দৌড়ানো ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। এসবের পাশাপাশি ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ খুব জরুরি। এক্ষেত্রে মসুর ডাল হতে পারে আপনার ভালো বন্ধু। তবে তা খেতে হবে নির্দিষ্ট নিয়মে।
অনেক বাড়িতেই নিয়মিত মসুর ডাল খাওয়া হয়। এই ডাল বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এতে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুস্বাদু এই ডালটি তৈরি করা খুব সহজ। পুষ্টিবিদদের মতে, মসুর ডাল প্রোটিনের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য অপরিহার্য। এই ডালে বেশি ফাইবার এবং কম পরিমাণে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট থাকে।
মসুর ডালের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১ কাপ রান্না করা মসুর ডালে রয়েছে ১৮০ ক্যালোরি। সঙ্গে ১০ গ্রাম প্রোটিন এবং ৬ গ্রাম ফাইবার। অন্যদিকে, আস্ত মসুর ডালে ১৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮ গ্রাম ফাইবার সহ প্রায় ১২০ ক্যালোরি রয়েছে।
কীভাবে মসুর ডাল ওজন কমায়? জন কমানোর ক্ষেত্রে মসুর ডাল একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে কম ফ্যাট এবং কম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এর উচ্চ ফাইবার সামগ্রী হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা ওজন কমাতে উপকারী প্রভাব ফেলে।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর মসুর ডাল প্রোটিনের ভান্ডার। এক কাপ মসুর ডালে ১০ গ্রাম প্রোটিন এবং ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। ওজন কমানোর জন্য ফাইবার অপরিহার্য। কারণ এটি হজমকে উৎসাহিত করে।
মসুর ডাল খেলে স্থূলতার ঝুঁকি কমে। এই ডালে বেশি ফাইবার পাওয়া যায়, যা আপনার পেট ভরা রাখে এবং ওজন বাড়ায় এমন জিনিস খাওয়া থেকে আপনি রক্ষা পান। এভাবে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কীভাবে মসুর ডাল খাবেন?
মসুর ডাল রান্নার আগে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি করলে পুষ্টি বেশি পাওয়া যায়। ওজনও কমে। ডাল ও তড়কা হিসাবে খাওয়া ছাড়াও মসুর ডাল কাবাব, বিরিয়ানি বা পোলাও তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT