147 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি>কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় চায়ের দোকান থেকে হযরত আলী (৫৫) নামে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চায়ের দোকানটি হযরত আলীর স্ত্রী ফিরোজা চালাতেন। হযরত আলী ছিলেন ভ্রাম্যমান ভাংড়ি ব্যবসায়ী। রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার পয়রাডাঙ্গা দাদামোড়ের হযরত আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগমের চালনাকারীচা দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে হযরতের স্বজনরা বলছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। হযরত আলী নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আছমত উল্লাহর ছেলে। হযরত আলীর স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, হযরত আলী পেশায় ভ্রাম্যমান ভাংরী ব্যবসায়ী ছিলেন। ভ্যানগাড়ীতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুরাতন জিনিসপত্র ভাংরী হিসেবে কিনে তা মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাড়ির পাশে দাদামোড়ে একটি চায়ের দোকান করেন। শনিবার সন্ধ্যায় ওই চায়ের দোকানের যান হযরত আলী।
পরে রাত দুটার দিকে স্বজনদের মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর কথা জানান ফিরোজা বেগম।হযরত আলীর বোনের ছেলে (ভাগিনা) সোলায়মান ও রনি জানান, রাত দুইটায় মামী ফিরোজা বেগমের ফোন পাই। ফোনে তিনি জানান, তার মামা (হযরত) রাত ১১টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ২টার কিছু আগে মারা যায়।
আমরা এসে দেখি চায়ের দোকানে একটি টেবিলের উপর পড়ে আছে মামার দেহ। মামার মৃত্যু আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।হযরত আলীর ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) মতিয়ার রহমান জানান, বেশ কিছুদিন থেকে চাচীর স্থানীয় আনিছুর রহমান নামের এক লোকের সাথে অনৈতীক সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে চাচা ও চাচির মধ্যে ঝগড়া ঝাটি চলে আসছিলো।
এই জেরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সুমন রেজা জানান, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তা নেয়া হবে। আরলাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।