126 বার পঠিত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো অভাব নেই। তবে কেউ কেউ বলছেন বাজারে স্যালাইনের ঘাটতি রয়েছে। আমরা ভারত থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছি। দু-একদিনের মধ্য সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন দেশে চলে আসবে। বাকিটা পরের দিন আসবে। তবে এর চেয়েও বেশি স্যালাইন লাগবে। আমরা তাও আনার ব্যবস্থা করবো।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ডে উপলক্ষ্যে হাসপাতালের অন্তঃবিভাগের বেশ কয়েকটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকা সিটিতে নয়, সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এডিস মশা সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। আপনারা জানেন সারাদেশে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন আড়াই হাজার নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ এর মতো রোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সরকারের পক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা সম্ভব নয়, এর জন্য সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, মশা নিধনের কার্যক্রম কয়েক মাস করলে চলবে না। সারাবছর মশা নিধনের কার্যক্রম চলাতে হবে। তবেই মশা নিধন করা সম্ভব হবে। এখনো মশা বাড়ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। এতে মৃত্যুও বাড়ছে। যে পর্যন্ত মশা না কমবে, সে পর্যন্ত মৃত্যুও কমবে না। অন্যান্য দেশে ভালো করে স্প্রে করেছে এবং সারাবছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করেন। এর জন্য ওই সব দেশে মশাও কম, মৃত্যুও কম।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও নারী রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি ডাক্তার ও নার্সদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার ভালো করে সেবা দিন। আপনাদের সেবার ওপর নির্ভর করবে এই হাসপাতালে মানোন্নয়ন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাত্র শিক্ষকদের র্যালিতে অংশ নেন ও কেক কেটে এবং গাছের চারা রোপণ করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ডের উদ্বোধন করেন।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাক্তার আরশ্বাদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন মৃধা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, শিশু বিভাগের অধ্যাপক নাজমা বেগম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন প্রমুখ দেন।