176 বার পঠিত
১২ই রবিউল আউয়াল ৫৭০ খৃ: রোজ সোমবার দিন টি ছিলো গোটা দুনিয়ার জন্য একটা বিশেষে দিন। কারন, এদিনে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে নবী দুনিয়াতে এসেছিলেন রহমতের আলোর দ্যুতি হয়ে। দিনটিকে মুসলিম উম্মাহ ঈদে মিলাদুন নবী হিসেবে পালন করে থাকে। মুসলিম বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
এই দিনে মা আমেনা’র কোল আলো করে জন্ম গ্রহন করেন রাসূলুল্লাহ (সঃ)। পুরো বিশ্বের জন্য যে আদর্শ রেখে গেছেন তা সকল মানব গোষ্ঠীর জন্য অনুসরনীয় অনুকরনীয়। তার জীবনকে পবিত্র আল-কুরআনের জাগতিক বাস্তব রূপ মনেকরা হয়। যে আদর্শ তিনি তুলে ধরেছেন তার এই স্বল্প জীবনে তা মহান আল্লাহর একটি নিদর্শন। তিনিই ছিলেন এক মাএ মানব যার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোনো পাপ ছিলো না।
হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বাণীসমূহের মহান গুরুত্ব, সেসবের সার্বজনীন নৈতিক মূল্য কেবল তখনই পৃথকভাবে সম্যক উপলদ্ধি করা যায়, যখন কেউ তা আত্নস্থত হয় যে, মানব জাতির এক বিশাল অংশের ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বুনিয়াদ হচ্ছে পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন। নবী (স:) এর বাণী ও কর্ম ( সুন্নাহ) সর্বদা অনুসরনীয়।
মুহাম্মদ (স) এর আচারনিষ্ঠা ও পথ এবং তার উচ্চারিত বাণী সমূহ কুরআনেরই একটি সম্পূরক জীবন্ত ব্যাখ্যা। হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বাণী যাবতীয় কাজ সবকিছুই বিধানের মর্যাদা লাভ করেছে। কুরআনের আদেশ ও নিষেধ মেনে চলা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।
আমাদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কুরআন মজিদ মহানবী (সঃ) এর উপর নাজিল হয় এবং আল কুরআন মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ জীবনবিধান আর পথপ্রদর্শক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ হিসেবে নাজিল হয়েছে। আমাদের সকলের উচিৎ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবন আদর্শ মেনে চলা তাকে অনুসরণ অনুকরন করা এবং ইসলামিক রীতিনীতি পালন করা। কারন তার দেখানো পথই আলোর তথা মুক্তির পথ।
আমাদের সকলের উচিত নবীজি মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহর সিরাত কে অন্তরে ধারন করা ও তার দেখানো পথে চলে সফলকাম হওয়া। নবী আমাদের আদর্শ আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন।