করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও প্রভাব রয়েছে এখনো। করোনা সামলাতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ সরকার। পরিস্থিতি যেন ভয়াবহ রুপ লাভ না করে সে জন্য কঠোর লক ডাউনের সিদ্ধান্ত ও আসতে পারে। করোনা সামাল দিতে করোনা টিকা কার্যক্রম জোরদার করার পরেও সকল মানুষের কাছে টিকা এখনো পৌচায় নি।
ওমিক্রন ভয়াবহ রুপ লাভ করার সঙ্কা থেকেই সরকার এবার আগে থেকেই বেশ তৎপর। লক ডাউন না দিলেও জারি করা হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। কিন্তু গত দুদিন বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে দেখা গেছে সরকারি বিধিনিষেধ মানছে না কোথাও। চাদঁপুর- ফরিদগঞ্জ সহ প্রায় বেশিরভাগ যায়গায়ই মানুষ স্বাস্থ্যবিধির বালাই করছে না।
পথে ঘাটে মাস্ক ব্যাতিত চলাচল করছে সকলেই। সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে বাসে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও বাসগুলো পুল যাত্রী নিচ্ছে। বাস চালক হেল্পারদের টিকা সনদ নিয়ে পরিবহন চালানোর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এক চালক জানান, বেশিরভাগ চালক-হেল্পারই এখনো করোনা টিকা নেননি তাই এসব নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না।
হোটেল রেস্তোরাঁয় খেতে হলে থাকতে হবে করোনা টিকার সনদ। সেটিও মানছে না কোথাও।
এ বিষয়ে এক হোটেল মালিক জানান, বেশিরভাগ মানুষই এখনো টিকা দেননি। যারা টিকা দিয়েছেন তারাও কার্ড সাথে রাখেন না। এক্ষেত্রে আমাদের নিয়ম মানা কঠিন।
ওমিক্রন সামলাতে সবধরনের গনজমায়েত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও বিভিন্ন যায়গায় ওয়াজ মাহফিলও হতে দেখা গেছে।
দোকান-পাট,শপিং মল, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও মানুষের অবাদ স্বাস্থ্যবিধির বালাই না করেই চলতে দেখা যাচ্ছে।
মানুষকে সচেতন করতে কিংবা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকেও মাঠে দেখা যাচ্ছে না খুব একটা। এমন বিধিনিষেধ ওমিক্রন সামাল দিতে কতটা ভূমিকা রাখবে সেটা সময়ই বলে দিবে।