104 বার পঠিত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে তফসিল পুনর্র্নিধারণ করা যেতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে ভোটের তারিখ পেছানো হবে।নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন।বিএনপি ভোটে না এলে কী করবেন—প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমি উত্তর দেব না। বিএনপিকে একবার নয়, দুবার নয়, পাঁচবার নয়, দশবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা আসেনি। এখনও সময় আছে। সমঝোতা হলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আশা করি, তারা যদি আসে পুরো জাতির জন্য সৌভাগ্য হবে। আমরা চাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক।’
তফসিল পেছানোর বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা তফসিল পুনর্র্নিধারণের কথা বলেছেন। এর অর্থ এই নয় যে ভোটের তারিখ পেছানো হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা এখতিয়ারের বাইরে যাব না। প্রশাসনের রদবদল কে কখন করেছিল? বিচারপতি লতিফুর রহমান সাহেব করেছেন। তিনি সিইসি ছিলেন কি-না জানি না। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন। আমরা নির্বাচনের স্বার্থে যেটা ভালো মনে করব, সেটা করব। আমরা এখতিয়ারের বাইরের যাব না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে করব।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী) নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে তারা (সরকার) আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনপূর্ব সময় হচ্ছে—তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এতে কতগুলো ধাপ আছে। একটা ধাপ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিল পর্যন্ত। এরপর বাছাই। এরপরও কিছু স্টেজ থাকে। এরপর আপিল স্টেজ থাকে। শুনানি করে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেব। এরপর থাকে প্রত্যাহার। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ করবেন। তারপর বলবেন এখন আপনারা প্রচার করতে পারবেন। এরপর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সেটা থেমে যাবে।
শোডাউনবিষয়ক এক প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এখন যে কেউ প্রচার চালাতে পারে। কেন না, এখনও কেউ প্রার্থী হয়নি। এ ছাড়া কোন আইনে বলা আছে যে, দলের মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় শোডাউন করা যাবে না?’