170 বার পঠিত
বাংলাদেশে সরকারবিরোধী সমাবেশে বিরোধী দলকে সহায়তা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এমন অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। মূলত গত ২৮ অক্টোবর রাজপথে বিএনপির পণ্ড হয়ে যাওয়া মহাসমাবেশ ঘিরে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে মারিয়া জাখারোভা বলেন, অক্টোবরের শেষে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এই ধরনের কাজ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে রাশিয়ার দূতাবাসের ভেরিফায়েড পেইজ থেকে মারিয়া জাখারোভার এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
ওই পোস্টে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হলেও আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের এই চেষ্টা বারবার প্রকাশ্যে তুলে ধরছে রাশিয়া।’
বাংলাদেশে বিএনপির ভোট বয়কটের আহ্বানের মধ্যেই ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পিটার হাস দৃশ্যত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে ‘তৎপর’। তাকে তার ‘বস’ সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-এর চিঠি বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করতে দেখা গেছে, যাতে তাদের সংলাপে বসতে বলা হয়।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বানচাল হওয়া বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সমাবেশের সময় সরকার ঢাকার সড়ক ও প্রবেশপথ বন্ধ করবে কিনা। তবে মার্কিন দূতাবাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি পরে প্রত্যাখ্যান করে।
এর আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া ও চীন।