1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে উৎকন্ঠা; ভোট যুদ্ধে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে উৎকন্ঠা; ভোট যুদ্ধে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

আমিনুর রহমান শামীম
  • প্রকাশ শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

 199 বার পঠিত

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫ম পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীরা কৌশল হিসেবে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ও উঠান বৈঠকে দলীয় কোন্দল প্রকাশের মধ্য দিয়ে ভোট চাওয়ায় ভোটারদের মাঝে বেড়েই চলছে সিদ্দ্বান্ত হীনতা এবং উৎকন্ঠা। ভোটার ও সাধারণ মানুষদের মাঝে ভোট নিয়ে চলছে গাণিতিক বিশ্লেষণ। বিএনপির ঘাটি নামে খ্যাত বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করলেও লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থীদ্বয় বিএনপির ভোট ব্যাংকের সুযোগ পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। বিএনপির সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মরহুম  আহসান হাবীব কামাল এর পুত্র কামরুল আহসান রুপমের টেবিল ঘড়ি সহ নৌকায়ও  বিএনপির ভোট চলে আসবে বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি। 

গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণদের ধারণা অনুসারে বরিশালেও সুশৃঙ্খল পরিবেশে  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বরিশাল সিটির বিএনপির ভোট ব্যাংকের ওপরই নির্ভর করবে প্রার্থীদের বিজয়। 

এদিকে বরিশালের সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজ, ইমাম- মোয়াজ্জেমদের সংগঠন, পূজা উদযাপন কমিটি, সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদ, বিভিন্ন জেলা উপজেলার নাগরিক সমিতি, বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন, রিক্সা ভ্যান অটোরিক্সার সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠন মনে করছে, যিনিই মেয়র নির্বাচিত হবেন মাত্র সাত আট হাজার ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হতে পারেন। এর মধ্যে নৌকা, হাতপাখা ও লাঙ্গল প্রায়ই কাছাকাছি অবস্থানে থাকতে পারে বলে তাদের অভিমত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, নৌকার মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ( খোকন সেরনিয়াবাত)  মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা না রাখতে পেরে সাবেক মেয়র মরহুম এ্যাড. শওকত হোসেন হিরনের পথ অনুসরণ করছেন। তিনি আরো বলেন, হিরন পন্থীদের ভোটের মধ্যে অধিকাংশই  ইকবাল হোসেন তাপসের লাঙ্গল মার্কায় যাবে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের উন্নয়ন ও অর্থ উপদেষ্টা ছিলেন। 

বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা তিনিও তার নাম প্রকাশে অনুরোধ করে জানান, বরিশাল সিটি নির্বাচনে ৪৭% ভোটার ভোট কেন্দ্র যেতে পারেন। বরিশাল সিটি নির্বাচনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রে রয়েছে।

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৮৯ ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।  সেই হিসেবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোট কাস্ট হতে পারে। এই ভোটের নারী পুরুষ ৬৫% অর্থাৎ বিএনপির ৮৪,৫০০ ভোটার কেন্দ্রে যাবেন। বাকি ৩৫% অর্থাৎ  ৪৫,৫০০ ভোট প্রদান করবেন আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের সমর্থকগণ। বিএনপির ঐ নেতা আরো জানান, বরিশালে আওয়ামী লীগের রিজার্ভ ভোট হচ্ছে ৯৫,০০০ যার ৪৫০০০ ভোট কাস্ট হতে পারে। ফলাফলের হিসেবে যিনিই মেয়র প্রার্থী হবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার ভোটে নির্বাচিত হবেন। ৪৭% ভোটের মধ্যে ঘড়ি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২০০০০ হাজার ভোট নিয়ে গেলে বাকি ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটের মধ্যে নৌকা, হাতপাখা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রত্যেক প্রার্থীই কমপক্ষে ২৫০০০ করে ভোট পাবেন। যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি বিএনপির ভোট ব্যাংক থেকে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন।

 এদিকে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে.এম জাহাঙ্গীর জানান, আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আব্দুর রহমান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে নৌকা  বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে। 

 এবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে নারী ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮’শ ৯ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪’শ ৮৯ জন। নারী ভোটার সংখ্যা পুরুষ ভোটারের চেয়ে  ১৩’শ ২০ জন বেশি।

এ বিষয়ে নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের গৃহবধূ সাহিদা আক্তার বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন গঠনের পর থেকে নগরীতে একে একে বেশ ভালো উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে বিগত ১ যুগেরও বেশি সময়ে ব্যপক উন্নয়ন লক্ষ্য করেছি। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে উন্নয়নের সাথে থাকার পক্ষে মত দেব। তিনি আরো বলেন, যার মাধ্যমে বরিশাল নগরীর উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে, তথা শান্তি শৃঙ্খলা থাকবে আমরা এবারের নির্বাচনে তাকেই ভোট দেব। 

নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড এলাকার মারুফা আক্তার রনি বলেন, প্রার্থীর দলীয় পরিচয়ের পাশাপাশি নগরীর উন্নয়নই তার কাছে বেশি গুরুত্ব পাবে। তিনি মনে করেন, বেকার সমস্যা নগরীর প্রধান সমস্যা। বিজয়ীদের এ ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। 

নগরীর নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষিকা নাসরিন জাহান বলেন, নগরীতে এখনো  মানসম্মত স্কুল’র সংখ্যা অপ্রতুল। তাই প্রার্থীদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিৎ। এছাড়া নূরিয়া স্কুলের মত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে চাপ কমানো ও  শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতে  তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন তাকেই ভোট দেবেন বলে জানান।  

নগরীর স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহানারা বেগম বলেন, আমরা উন্নয়ন ও উন্নতির পক্ষে। একটি সময় আমাদের এখানে বস্তি ছিলো। এখন তা কলোনীতে রুপান্তরিত হয়েছে। আমাদের জীবন মান বেড়েছে। আমাদের সন্তানরা এখন স্কুলে পড়ছে। তাদের আর কেউ বস্তির ছেলে বলে না। তাই আগামী দিনে যিনি আমাদের উন্নয়ন করবেন আমরা তাকেই ভোট দেব।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ পরিচালক দিলারা খানম বলেন, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে নারী ভোটারা একটি বিশাল ফ্যাক্টর। কারণ পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটার সংখ্যায় বেশি। তারাও প্রার্থীদের হার-জিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরো বলেন, নারীর মতামতকে উপেক্ষা করে বিজয়ী হওয়া অসম্ভব। তাই যার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা আরো সম্প্রসারিত হবে নারীরা তার পক্ষেই ভোট দেবেন।

বিএনপির ভোট কোন কোন দলে বিভক্ত হতে পারে এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই জানান, বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে না সেই ক্ষেত্রে ঘড়ি মার্কার প্রার্থীকে তারা বর্জন করেছে তাছাড়া বিএনপি আওয়ামী লীগে ভোট প্রদান করাটা হবে আত্মঘাতী তাই বিএনপির ভোট হাতপাখাতেই পড়বে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এই সরকারের অধীনে বিগত ১৫ বছরে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। গায়ের জোরে তারা ক্ষমতায় আসীন আছে। এই সরকারের অত্যাচারের কারণে সাধারণ ভোটাররা ও বিএনপির ভোটাররা আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে ভোট দেবেন। আমার বাবার অনুসারীরা অবশেষে আমাকেই তুলে নেবেন ইনশাআল্লাহ। 

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের মতে, বরিশালে বিএনপির ভোট কোথায় যাবে তা বলা মুসকিল। আমরা ভোটারদের কাছে আবেদন করছি তারা যেন সৎ, আদর্শবান একজন প্রার্থীকে ভোট দেন।

এদিকে নারী ভোটারদের সংখ্যা  পুরুষদের তুলনায় ১ হাজার ৩২০ টি বেশি হওয়ায় নৌকার প্রার্থী  আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) এর সহধর্মিণী লুনা আব্দুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের সহধর্মিণী ইসমাত আরা তাপস  নারী ভোটারদের অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অসামাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বরং বিভিন্ন দোষারোপের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভোট বাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করায় ভোটারদের মাঝে উৎকন্ঠা ও সিদ্দ্বান্ত হীনতা বেড়েই চলেছে। 

সাধারণ জনগণ জানতে চান বিএনপির ভোটাররা কোথায় ভোট দেবেন? কোন প্রার্থীর মার্কায় যাবে বিএনপির ভোট? এ ব্যাপারে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী জানান, একসময় বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি ছিল। তাদের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই ভোট আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনে যাবে। জাপা ও ইসলামী আন্দোলন বিএনপির ভোটে ভাগ বসাতে চাচ্ছে।

সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, নৌকার প্রার্থীর প্রচারণা চলছে। একইভাবে মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। একমাত্র বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তারা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তাদের ভোট নির্বাচনে ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, জনগণ শঙ্কায় আছে, আমরাও শঙ্কিত। গত ১৮ সালের ভোটের ইতিহাস সবাই অবগত আছে। জনগণ একটি সুষ্টু নির্বাচন দেখতে ও ভোটে অংশ নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তিনি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ( ইভিএম) এ ভোট গ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন এবং ব্যালটে ভোট গ্রহণ সহ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছেন। 

বরিশাল মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড. মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ বলেন, ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএম। এই মেশিনের ভোট কোথায় যাবে, কী হবে জানা নেই। এমনকি রিকাউন্টিংও করার সুযোগ নেই। ইভিএম কিংবা ব্যালটে এই সরকারের ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, এটাই চূড়ান্ত।

২০ বছর আগে পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয় বরিশাল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ বার হয়েছে নির্বাচন। এর মধ্যে ২ বার আওয়ামী লীগ ও ২ বার বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। 

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park