65 বার পঠিত
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে দ্রুত সরকারি-বেসরকারি স্পিড বোট পাঠানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে তিনি এ দাবি জানান।
এর আগে, ভোর চারটায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করার অভিযোগে পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ। তাদের দাবিগুলো হলো—সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন স্পিড বোট বন্যা কবলিত স্থানে পাঠানো; বিভিন্ন পোর্টে থাকা ছোট ছোট লঞ্চ বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো; বন্যায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত সব যানবাহনকে কর্তৃপক্ষ থেকে জরুরিভাবে জ্বালানি সরবরাহ করা; সব বেসরকারি ট্রলার ও স্পিড বোটকে ফ্রি করে দেওয়া; যত দিন এই দুর্যোগ অবস্থা বিরাজমান থাকবে তত দিন ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিধি পাঠানো।
প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান একজন প্রতিনিধি পাঠান। এ সময় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নৌ-পরিবহন কন্ট্রোল অফিসের কার্যক্রম বন্ধ পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা জানান। পরে শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৬টার দিকে অবস্থান ছেড়ে দেন।
কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অনতিবিলম্বে সরকারি-বেসরকারি সব বোট দুর্গত এলাকায় নিয়োজিত করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান করে বলুন-প্রধান উপদেষ্টা থেকে নির্দেশ আছে। এক ঘণ্টার মধ্যে কন্ট্রোল রুম চালু করুন। জাতীয় সংকটের সময় যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানকে যেন আর শিক্ষার্থীদের ঘেরাও করা না লাগে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নেমে পড়ুন। সব বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদেরকে যেন আর নির্দেশনা দেওয়া না লাগে।’
ভারতের প্রসঙ্গে টেনে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে যদি কোনো রাষ্ট্র দাঁড়ায় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।’