110 বার পঠিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পরই মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় এবং জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি পালনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ মে) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত-নিপীড়িত মেহনতী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তার পথ ধরেই শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং তিনি শ্রমিকদের জন্যও নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।” মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রায় ক্ষমতায় এসেছে, মানুষের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি থাকে। এ দেশের শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুল ইসলামের (ওহিদ) সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন , চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভুইঁয়া, সদস্য এডঃ বদিউজ্জামাল কিরণ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা মঞ্জু মাঝি প্রমুখ।