কৃষক ও খামারীর জানান এবার কোরবানীর পশুর দাম থাকবে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে । এবার মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদ বেশি। তাই তারা ছোট ও মাঝারী গরু লালন পালন করেছে বেশি। গত কয়েক বছর ধরে খামারে কোরবানীর গরু ও ছাগল স্কেলে কেজি মেপে বিক্রি হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। খামারে গরু কিনে সেখানেই রেখে আসছে ক্রেতারা। ঈদের আগের দিন বাড়ি নিয়ে আসবে তারা। এর জন্য ক্রেতাদের কোন বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে না।
পাশ্ববর্তী দেশে থেকে পশু চোরাপথে না আসায় দেশে গো খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে খুশি প্রায় অনেক কৃষকও খামারী খুশি। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের দেয়া তথ্য্য মতে জেলায় এবার ৪৬ হাজার পশুর খামার(গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ) গড়ে উঠেছে। এখন দেশে কোরবানীর চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর জেলা অর্ধশত পশু উদ্বৃত্ব থাকে। জেলায় এবার কোরবানীর চাহিদা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৫ টি। এবার প্রায় ৬৮ হজার কোরবানীর পশু উদ্বৃত্ব থাকবে বলে জানান প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সাইফুল ইসলাম।। তিনি আরো জানান জেলায় এবার কোরবানী যোগ্য গরু আছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ , ছাগল ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৮, ভেড়া ২৮ হাজার ও মহিষ আছে ১ হাজার ৭৩৩ । জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানায় গত বছর খামারীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৭৮৪ টি। গত বছরের চেয়ে ৬৩১ টি খামার বেশি হয়েছে।
টিএমএসএস ও বগুড়া ভান্ডারের গরু ছাগলে খামারে গিয়ে দেখা গেছে তারা কেজি দরে কোরবানীর পশু বিক্রি করছে। তারা জানায় ক্রেতাদের সুবিধার্থে এব্যবস্থা রেখেছেন। টিএমএসএস গরুর খামারের ম্যানেজার সাঈদ জানান, তারা ৩০০ কেজি পর্যন্ত গরু লইফ ওয়েট বিক্রি করছে ৪৫০ টাকা কেজিতে (এর মধ্যে থাকবে ভুড়ি.. গরুর ৪ টি পা, মাথা, চামড়া) এতে ৩০০ কেজির একটি গরুর দাম পড়ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তবে ভুড়ি, গরুর ৪ টি পা, মাথা, চামড়া বাদ দিয়ে শুধু মাংসের ওজন হবে ১৮০ কেজি বা সাড়ে ৪ মণ। তাতে মাংসের দাম আসবে ৭৫০ টাকা কেজি। ৩০০ কেজির উপরের গরু বিক্রি করা হচ্ছে লাইভ ওয়েটে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। তারা গরুর ৬০ শতাংশ মাংস ও ৪০ শতাংশ গরুর ভুড়ি, পা, মাথা ও চামাড়া হিসেব করে মূল্য নির্ধারণ করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT