ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় হতাহতের জন্য সারাদেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর এ দোয়া হয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাতে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা।
মোনাজাতে ইসরায়েলের হাতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা।
বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ সময় গাজাসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্থানে নিহত নাগরিকদের রূহের মাগফিরাতে বিশেষ দোয়া করা হয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাইতুল আমান (চানবানু) জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আজিজুল ইসলাম কাসেমী জুমার খুতবার আগে সবাইকে রাতে দুই রাকাত নামাজ পড়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান। সবাই চোখের জলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
এদিকে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৪ দিন ধরে গাজাকে লক্ষ্য করে বিরতিহীনভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই হলো ১ হাজার ৬৬১ জন। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় ১৩ হাজার ২৬০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, গাজায় বর্তমানে ৪ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করছে, গাজায় হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে তাদের এসব নির্বিচার হামলায় বেসামরিক মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যার প্রমাণ ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT