প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন দাবি করেছেন দেশের জনসংখ্যা মোট অনুপাতে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ । আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতায় শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় দেশব্যাপি সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নানা কর্মকান্ডের কারণে সাক্ষরাতার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এখনো প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ নিরক্ষর। তাদের সাক্ষর করতে না পারলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।এজন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে নিরক্ষর মানুষ রাখা হবে না। সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই। ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না বলে জানান তিনি।
জাকির হোসেন আরো জানান , এখানো যে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সাক্ষরতার বাইরে আছে তাদের সাক্ষরতার আওতায় আনতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছরে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়া হয়েছে। গত ৩০ জুলাই এ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর দেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সে হিসেবে দেশের ৪ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ এখনো নিরক্ষর।
গনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় বাংলাদেশে মোট সাক্ষরতার হার,
পল্লী এলাকায় ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
যালিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৮২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষাতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ৪৫ দশমিক ০১ শতাংশ সাক্ষরতার হার ছিল
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গত ১১ বছরে সাক্ষরতার হার অনেকটাই বেড়েছে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে দেশের মোট সাক্ষরতার হার ছিলো ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যা বেড়ে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT