80 বার পঠিত
পাবনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী মিলে পিটিয়েছেন আরিফুজ্জামান (৩৬) নামের এক শিক্ষককে। তিনি সদর উপজেলার ৪০নং হেমায়েতপুর বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বুধবার রাতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার বালিয়াহালট স্কুল মাঠে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে শিক্ষক আরিফুজ্জামানকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিুযক্ত তিন দপ্তরী হলেন- শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী সজীব (৩০), চকপৈলানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী বাপ্পী (২৮) এবং কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী রতন (৩০)।
শিক্ষক আরিফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার তিনি সদর উপজেলার বালিয়াহালট স্কুল মাঠে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তিনি দক্ষিণ রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী সজীবকে খেলার মাঠের বাইরে যেতে বলেন। এতেই দপ্তরী সজীব শিক্ষক আরিফুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিলে সজীব আরও ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি সেখানে থাকা চকপৈলানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী বাপ্পী এবং কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী রতনকে ডেকে আনেন। এরপর তিনজন মিলে তাকে কিল-ঘুসি ও লাথি মারতে থাকেন। তারা তাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেন।
ওই তিন দপ্তরী মিলে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা শবনমসহ অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষক আরিফুজ্জামান আরও উল্লেখ করেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এগিয়ে আসার পর তার সামনেই সজীব তার বুকে লাথি মারেন।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, এসব দপ্তরীর অধিকাংশই রাজনৈতিক সুপারিশে নেওয়া হয়েছে। এজন্য তারা স্কুলে সবার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। অনেকে ভয়ে নীরবে সহ্য করেন।
সদর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা শবনম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মো. ইউসুফ রেজা বলেন, এসব দপ্তরী স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বার্ষিক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়ে থাকে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।