144 বার পঠিত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি> কখনো যদি কোন কারনে কুয়াকাটা থেকে রাজধানী ঢাকায় যেতে হতো তাহলে ফেরি পারাপারের ভোগান্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় জনগণ। সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহর বরিশাল ও জেলা সদর পটুয়াখালী হয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা যেতে আর কোন ফেরি থাকছে না।
সড়কপথে যাওয়া যাবে নির্বিঘ্নে। আগে সময় লাগত ৮-১০ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে সময় লাগবে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন স্হানীয়রা। এবং কুয়াকাটা মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে কম সময়ে, জেলেদের সামুদ্রিক মাছ পৌঁছানো যাবে রাজধানী ঢাকায় এতে ভালো অর্থ পাবে জেলেরা, লাভবান হবে অর্থনৈতিক অবস্থা।
আজ শনিবার উদ্বোধন হয়েছে স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’। সেই সঙ্গে ফেরি যুগের অবসান ঘটছে ঢাকা-কুয়াকাটা ৩০৬ কিলোমিটার সড়কপথে । এমন খুশির সংবাদে মহিপুর কুয়াকাটা জেলে পল্লীগুলোতে নারী পুরুষ আনন্দের হাসি হেসেছে।
জেলেপাড়ার সরেজমিনে গিয়ে শোনা যায়, পদ্মা সেতু চালু হয়েছে এখনে বড় বড় বিনিয়োগকারী কুয়াকাটা আসবে, তারা মাছ ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দূরত্ব বিক্রি করতে পারবে। এতে দ্রুত মাছ বিক্রি হবে এবং মাছের ভালো দাম পাওয়া যাবে। খাল-বিলের সমুদ্রের তাজা মাছ দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হবে দেশের বাহিরে।
মহিপুরের জেলে হারুন মাঝি জানালেন, আইজগো মাগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করছে, এইজন্য মোরা হুগডি এক্সের খুশি। এহন মোগ জাইল্লাগো অনেক লাভ হইবে। কারণ মোরা তাজা তাজা মাছটা বেচতে পারমু, কম সময়ের মধ্যে ঢাকা পাঠাইতে পামু এবং ভালো দাম পামু, পদ্মা সেতু দক্ষিণ অঞ্চল জেলেদের জন্য বড় উপহার।কুয়াকাটার ময়না বেগম বলেন, মোগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফারে ধন্যবাদ জানাই। মোরা আশা করছি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোগো এই সাগরের মাছ ধরিয়া কম সময়ে পাঠাইতে পারবো। কারণ ঢাকা থেকে মোগো কুয়াকাটা পর্যন্ত এহন আর কোনো ফেরি নেই, এহন মোরা অনেক খুশি।
কুয়াকাটা আল্লাহ দান ফিশ এর মালিক হালিম ব্যাপারি বলেন, পদ্মা সেতুসহ ঢাকা কুয়াকাটা সড়কে যতগুলো সেতু হয়েছে সবগুলোই আমাদের জন্য, বিশেষ করে মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীদের জন্য বড় উপকারী। কারণ যখন ফেরি পারাপারের সময় টা ছিল তখন অনেক ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম, যানজটের কারণে সময় মত ঢাকার মোকামে আমরা মাছ পাঠাতে পারিনি। এবং পৌঁছতে পারলেও তাজা মাছ পৌঁছানো যায়নি। তাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল আমাদের, তবে এখন সবকিছুর অবসান ঘটবে, ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সড়কের কোন ফেরি নাই বলতে গেলে এক দৌড়ে ঢাকায় পাঠাবো মাছ। লাভের আশা করছি আমরা।
কলাপাড়ার মৎস্যজীবী কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। দক্ষিণ অঞ্চলের বিশেষ করে জেলেদের কপাল খুলেছে। কারণ ঢাকা কুয়াকাটা সাথে সরাসরি সড়কপথের যোগাযোগের একটি ব্যবস্থা হয়েছে। জেলেদের যে এতদিন ভোগান্তি ছিল, সবকিছুর অবসান ঘটবে। প্রচুর পরিমাণ মাছ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে, এতে লাভবান হবে জেলের সহ মালিকগণ আজ কুয়াকাটা কলাপাড়া বাসী আজ ধন্য।