141 বার পঠিত
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি> বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসারের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলছে।
জানা যায়, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে, চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের জন্য দেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন সমূহে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারী করেন।
এ উপলক্ষে বিআরডিবি’র দশমিনা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসারের কার্যালয় “পল্লী ভবনে” কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই ভবনের মূল গেটের সামনে সিড়ির উপরে দক্ষিণ পাশে অনুমান সাড়ে সাত ফিট উচ্চতার একটি দন্ডের উপরের দিক থেকে অনুমান দেড় ফুট জায়গা ফাকা রেখে জাতীয় পতাকা টানানো হয়। দেখা যায়, ও্ই দন্ডের একেবারে নিচে অফিসে প্রবেশের সিড়ির সাথে মানুষের হাটা চলায় পা পড়ে এমন স্থানের সমান্তরালে জাতীয় পতাকার নিচের অংশ রয়েছে। ইস্ত্রি বিহীন দুমরে মুচরে যাওয়া জাতীয় পতাকাটিতে রয়েছে অসংখ্য ভাঁজ।
মোশারেফ হোসেন নামে একজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন “দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত ও তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত লাল সবুজের পতাকা সরকারি দপ্তরে অবমাননা হচ্ছে। কামরুল হাসান নামে একজনে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন জাতীয় পতাকার এমন অবমাননা মেনে নেয়া যায়না।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি হাওলাদারের ছেলে ইয়াকুব হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। শিক্ষিত চাকুরীজীবী হয়েও কিভাবে এমন কাজ করে তা আমার বোধগম্য না। জাতীয় পতাকার এমন অবমাননা যারা করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের খারিজা বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক এবং আপত্তিকর। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দশমিনা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার এস.এম. আরিফুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আরব আলী এ ভুল করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে ওই কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তার অনুলিপি আমাকে দিয়েছে। তার বক্তব্যের উপড় ভিত্তি করে বিভাগীয় বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করবো।