চিত্রনায়িকা পরীমনির মা মারা যান যখন তার বয়স ৩। পরবর্তীতে ২০১২ সালে বাবাকেও হারান তিনি। যদিও মা মারা যাওয়ার পর থেকে নানা শামসুল হক গাজীর কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। তার পরিবারের একমাত্র অভিভাবকও তিনি। শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজীই ছিল পরীমনির চলার পথের অনুপ্রেরণা। ছায়া দিয়েই এতদিন পরীমনিকে আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু এ নায়িকার প্রিয় নানাই এবার তাকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামসুল হক গাজী। পরীমনি তার নানা শামসুল হক গাজীর মরদেহবাহী এম্বুলেন্স নিয়ে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে পৌঁছান সকালে। ভাণ্ডারিয়ায় নানির কবরের পাশেই গতকাল সমাহিত করা হয় নানা শামসুল হক গাজীকে।নানাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই পরীমনি ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন। নানা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নিজের জন্মদিনও উদ্যাপন করেননি তিনি। সে সময়ই সংবাদমাধ্যমকে নানাকে নিয়ে নিজের উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছিলেন। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে শোবিজে কাজ শুরু করেন পরীমনি। এ সময়েও তার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন তার নানা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নানার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন এ নায়িকা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT