183 বার পঠিত
জোবাঈদ আহাম্মদ মোমেন। বয়স এখন চল্লিশ পেরিয়ে। দুই কন্যা সন্তানের জনক এমবিএ শেষ করে বায়িং হাউজের চাকরি সূত্রে এখন বসবাস করছেন ঢাকায়।
এখনো যেনো তরুন ও উৎফুল্ল, চেনা পরিবেশ, মানুষ ও স্মৃতির কাছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদরের উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্স পেরিয়ে তার বাড়ি। দুরন্ত মোমেন খেলাধুলা ভালবাসতেন। ভালবাসতেন কৌতুহলী কোন কিছু যেচে পড়ে অনুসন্ধানে নেমে পড়ে তার রসদ উপভোগে। নবীনগরের খেতাব প্রাপ্ত ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে লিখেছেন বই। সাপ্তাহিক নবীনগর পত্রিকার বর্ষ পূর্তিতে হয়েছেন সম্মানিত, পেয়েছেন পুরুষ্কার।
নবীনগর উপজেলাটি কয়েকটি পরগনা ও এমএলএ শাসিত রাজনৈতিক অঞ্চল হলেও এখানে জন্মানো মহামানবদের ভুমিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে স্মৃতি কাতরতা। রাজ শাসন, জমিদারি প্রথা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, অ্যাধাত্বিকতা, রাজনীতিতে এই অঞ্চলের অবদান তৎকালীন উপমহাদেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ডিজিটাল মাধ্যমে ২০১৭ সালে জোবাঈদ মোমেন সেই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন ” নবীনগরের অ্যালবাম” নামক ফেসবুক গ্রুপ। গ্রুপটির বয়স এখন ৭ বছর!
বিশ্বখ্যাত ওস্তাদ আফতাব উদ্দিন খাঁ, সুর সম্রাটআলাউদ্দিন খাঁ, মর্হিষী মনোমোহন দত্ত, দানবির মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বর্তমান নবীনগরের ভৌগোলিক অঞ্চলের হারাতে বসা ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপনা, সংগ্রহের ছবির দুষ্প্রাপ্য ছবির ভান্ডার। নবীনগর অ্যালবামে দিন দিন যোগ হচ্ছে বাড়ির অন্দরে থাকা কিংবা পরিবারের অযত্ন-অবহেলা পড়ে থাকা নানা ঐতিহাসিক নির্দশনের ছবির দুষ্প্রাপ্য সংগ্রহশালা। তাতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে গ্রুপটি। নবীনগর নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখির কাজে এই গ্রুপটির অবদান বেড়ে চলেছে।
জোবাঈদ মোমেন জানান, ২০১৬ সালে “নবীনগরের ডায়েরি” নামে শুরু করি। পরে হ্যাকিংয়ের শিকার হলে নবীনগরের অ্যালবাম নামে আবার শুরু করি। অবসর সময়ে ও ছুটিতে চেষ্টা করছি নবীনগরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষনের। পাশ্ববর্তী উপজেলা কসবা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ নবীনগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছি নবীনগরের ইতিহাসের সন্ধানে। এখনো সিনিয়র-জুনিয়র, শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় সমান তালে চেষ্টা করছি। চেষ্টা আছে নবীনগরের পুরাতন ছবির সংগ্রহ নিয়ে পুস্তককারে অ্যালবাম ছাপানোর। সবার স্বত্বস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ কামনা করছি।