173 বার পঠিত
ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি>ময়মনসিংহের ত্রিশালে কিশোর গ্যাংয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সোহাগ মিয়া(২৭)কে। রবিবার (২১ আগস্ট) রাতে উপজেলার
বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা বাজার মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে সোহাগ মারা যায়।এ
ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য পলকে মারধর করে
ধলার বাজারের স্থায়ী বাসিন্দ শহীদ মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া। পলকে মারধর করার পর কিশোর
গ্যাংয়ের ভয়ে সোহাগ মিয়া বাড়ি ছেড়ে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ও জয়দেবপুর এলাকায় অবস্থান
করছিল। একমাস আগে নিজ এলাকায় ফিরে সোহাগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এলাকায় আসার পর আগের ক্ষোভ থেকে পল ও তার সহযোগী আব্দুল রহমান বিশ^াস, জুনায়েদ ওরফে শান্ত, রায়হাস ও সাব্বির নজর রাখে এবং গোহাগকে মারার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে
সোহাগকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পল ও আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
পরে ধলার বাজারের মন্দিরের পেছনে সোহাগকে ধরে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে পেটে
ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় রাতেই সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তারঁ মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের
নাম ভিডিওর মাধ্যমে বলে যান। ওই ভিডিও সংগ্রহ করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ভিডিওতে সোহাগ বলেন, বিশ^াস রায়হান ও পল তার ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে বিশ^াস
বেশি মারধর করেছে।
গোহাগের স্ত্রী মুন বলেন, হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্ধা জানান, ধলা গ্রামের উঠতি বয়সের কিশোররা প্রায় ছোট্ট খাটো ঘটনা নিয়ে
প্রতিদিনই মারামারি, গন্ডগোল, ঝগড়া কওে থাকে। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কোন কিছু বলে না।
স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা এই কিশোরদের আশ্রয় দিয়ে থাকে।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, পূর্বশক্রতার জেনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে
জানা গেছে। আসামীদের ধরার জন্য আমরা কাজ করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।