1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
তিন বছর অনুপস্থিত শিক্ষক  বেতন তুলেন ঠিকমতো,দুর্নীতিতে ভরে আছে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজিং কমিটি । - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

তিন বছর অনুপস্থিত শিক্ষক  বেতন তুলেন ঠিকমতো,দুর্নীতিতে ভরে আছে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজিং কমিটি ।

সাব্বির ইবনে ছিদ্দিক
  • প্রকাশ রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

 57 বার পঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

মাদরাসায় অনুপস্থিত দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রতিদিন দেওয়া আছে উপস্থিতির স্বাক্ষর। শুধু তাই নয়। বেতন বিলের সিটেও নিয়মিত দেওয়া আছে স্বাক্ষর। আর সেই বিল উপস্থাপন করে ব্যাংক থেকে প্রতি মাসের বেতন উত্তোলন করা হয়। পুরো বিষয়টি মাদরাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানলেও নেয়নি কোনো ব্যবস্থা।

সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাদরাসা পরিদর্শন করেন। তাতে পুরো ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। পরে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারসহ মাদরাসার সবাইকে আদেশ দিয়ে আসেন। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়ার খাসের হাট মাজেদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায়।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইয়াকুব নুরী ওই মাদরাসার এবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক। তার শিক্ষক ইনডেক্স নাম্বার ৩০১৬৮০-টি-৪০৪। তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ সাল থেকে এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন।

হাতিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সদ্য বিদায়ী) আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ইয়াকুব নুরী নামে একজন শিক্ষক মাদরাসা অনুপস্থিত। নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছেন। এটি জানার পর মাদরাসায় গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। সুপার জানান, তিনি অসুস্থ। কিন্তু মেডিকেল ছুটিসহ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। এই কাজটি সম্পূর্ণ আইন বিরোধী বলে বিবেচিত। কোনো ভাবে তারা এই কাজ করতে পারেন না। মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।


মাদরাসার পাশে বসবাস করেন চরকিং ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল আমিন। তিনি জানান, দীর্ঘ তিন বছরের ও বেশি সময় ধরে এই শিক্ষক মাদরাসায় আসেন না। কিন্তু প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করেন। প্রতিদিন মাদরাসার উপস্থিতির স্বাক্ষরও অন্য একজন দিয়ে দিচ্ছেন। এই বিষয়ে অভিভাবকরা অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পায়নি। তিনি নিজেও মাদরাসায় গিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সুপার সম্পূর্ণ নিজ ক্ষমতা বলে বিশাল এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন।

এদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাদরাসার শিক্ষক উপস্থিতির সিটের একটি কপি পাওয়া যায় তাতে শিক্ষক নুরীর উপস্থিতির স্বাক্ষর দেওয়া আছে। আবার একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বিলের সিটের একটি কপি পাওয়া যায় তাতেও শিক্ষক নুরীর স্বাক্ষর দেওয়া। কিন্তু দুটি সিটে একই ব্যক্তির স্বাক্ষরেও কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে মাদরাসার সহসুপার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান, ইয়াকুব নুরী নামে এই শিক্ষক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ হয়ে হাতিয়ার বাহিরে অবস্থান করছে। তার পরিবর্তে অন্য একজনকে মৌখিক ভাবে নিয়োগ দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিক দৃষ্টি থেকে এটি করানো হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে মানবিক দিক বিবেচনা করে সংবাদ প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

এই ঘটনায় মাদরাসার সুপার আবু জাফর মো. ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সাংবাদিকদের এসব তথ্য কে দেয় বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন। এসব কিছু তিনি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে করছেন বলে জানান।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park