47 বার পঠিত
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ভলকানো ডিসকভারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৪.১।
যেসব জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, ভোলা, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর, যশোর, খুলনা, কিশোরগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ।
ভূমিকম্পের সর্বশেষ আঘাত
সর্বশেষ ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এ ভূমিকম্প।
এর আগে গত ২ জুন মিয়ানমারে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ৪৪২ কিলোমিটার দূরে। ৫৯ সেকেন্ড এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।