44 বার পঠিত
অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ থেকে উচ্চারিত এই শব্দযুগল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। অবশেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন চাপার কথা বলেছিলেন, কলুষিত রাজনীতি থেকে নতুন যাত্রা বোঝাতে। যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, কোটি কোটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে এ দুটি শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আপনি যখন রিসেট বাটন চাপবেন তখন আপনার সফটওয়্যারটি পুনরায় সচল হবে। এটি হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সেটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিছু মানুষ ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের ভুল ব্যাখ্যা করছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালান। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেন।’