বিতর্কিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে ঢুকতে দেয়া হয়নি কানাডায়। দেশটির স্থানীয় কিছু বাংলা সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকেই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি।নারীর প্রতি অশালীন মন্তব্য এবং কিছু অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার দায়ে গত ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ। এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতের ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন সদ্য বিদায়ী এই প্রতিমন্ত্রী।
আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেদেশের বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি তাকে কানাডায় ঢুকতে বাঁধা দেয়।
কানাডা বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পারা যায়, মুরাদের সেদেশে প্রবেশ নিয়ে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক ক্রমাগত আপত্তি তুলেছে। এজন্যই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানে তাকে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোন দেশে তাকে পাঠানো হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পরপরই মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তার কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এছাড়াও তাকে জানানো হয় বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিক কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।
তবে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন সার্ভিস বা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি থেকে এ ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।
মুরাদ হাসানের কানাডা প্রবেশ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডার নাগরিকরা প্রবল আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েই গত বৃহস্পতিবার মমিনুল হক মিলন, আহাদ খন্দকার, জাকারিয়া চৌধুরীসহ অনেকে কানাডার ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কাছে চিঠিও দেন।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কানাডার মতো শান্তির একটি দেশে মুরাদের মতো কেউ গেলে সেখানকার বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না।