ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুল বন্ধ থাকলেও সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের শিশুদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। ওই সময় সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। এই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তকে বাঁচাতে নানা রকম পাঁয়তারা চলছে। গ্রামের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ওই শিশুকে সরকারি হাসপাতালে না পাঠিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে এসেছে। গোপনে এখানে আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে আসা হলে পরিবারটিকে এখান থেকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা।
তাদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত আটক করতে হবে।
অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ আছে। আমরা কাউকে কোচিং করানোর অনুমতিও দিইনি।
‘আমি ওই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ। আমি বিস্তারিত জেনে আমার শিক্ষা অফিসারকে অবগত করব।’
ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
‘সেই সাথে পরিবারকে এজাহার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT